ঢাকা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নেচেগেয়ে ফলাও করে প্রচার করে চলেছেন সন্ত্রাসীদের স্থান এই দেশে হবে না। দেশ জঙ্গী গোষ্ঠী খালাস করে ফেলছে, উপদেষ্টা বলছেন, দেশে কোনো জঙ্গী নেই! জঙ্গী তাহলে কে?
বাংলাদেশের নদীগুলো হয়ে উঠেছে লাশের ভাগাড় আর আদালত হয়েছে হায়েনার আস্তানা। কোথায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা?
সুপ্রীম কোর্ট বেকসুর খালাস দিচ্ছে ২১ আগষ্টের খুনীদের, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলছে রাজসাক্ষীর নাটক। উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করা।
অবৈধ দখলদার ইউনুস, আর স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আর তাঁদের সাঙ্গোপাঙ্গোরা বিচার বিভাগকে পরিণত করেছে অবিচারের অস্ত্রে।
সারা আগস্ট মাসজুড়ে দেশে চলেছে সীমাহীন সহিংসতা ও অরাজকতা।
নাহ! এইসব বিষয়ে একটা টু শব্দ নেই উপদেষ্টার মুখে। তিনি আছেন বাতেলা দিতে! মুখে বড় বড় কথা, আর প্রশ্ন করা কার বেতন কত?
সাংবাদিক হত্যা থেকে শুরু করে, মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণ এবং আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের উপর মব হামলা থেকে শুরু করে প্রকাশ্য দিবালোকে চলেছে হত্যা ও নির্যাতন।
থেমে থাকেনি বিভিন্ন ধর্মীয় গোষ্ঠীর উপর তৌহিদি জনতার হামলা। এদিকে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে কেন্দ্র করে চলছে আরেক ধরনের রাজনীতি।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও জোবড়া গ্রামের ঘটনা আমাদের শুধু মনে করিয়ে দেয় এদেশে জামাত শিবির রাজনীতির পটভূমিকেই।
বাংলাদেশের প্রথিতযশা রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্বরা যে প্রতিষ্ঠান থেকে বের হয়েছে, সেই ডাকসু আজ জামাত শিবিরের হাতে।
অথচ, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নামক আপদে সব কিছু থেকে দৃষ্টি সরিয়ে রেখেছেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কিংস পার্টি NCP-এর কার্যক্রম ও জামাতের সাথে তাদের অতিরিক্ত সখ্যতা।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, সন্ত্রাসীদের স্থান এদেশে হবে না। নৌডাকাত নয়ন ও পিয়াস পার্শ্ববর্তী দেশে চলে গেছে। ফিরে এলে তাদের স্থান হবে কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারে।
শনিবার মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া থানাধীন গুয়াগাছিয়ায় অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এই কথা বলেন তিনি।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এই এলাকাবাসীর প্রাণের দাবি ছিল এখানে একটি পুলিশ ক্যাম্প করা। এলাকায় যাতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো থাকে তার জন্য গুয়াগাছিয়ায় অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্পটি স্থায়ী করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হয়ে ফাইল সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ে রয়েছে।
এদিকে পুলিশ বরখাস্ত হচ্ছে, আরেকদিকে পুলিশ ক্যাম্প করার কথা বলেন উপদেষ্টা। পুলিশে এখন সব জামাত শিবির ঢুকানো হচ্ছে। এইগুলো সব এই সরকারের পরিকল্পনা।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অনেকের অনেক ধরনের স্বার্থ থাকে।যার যার স্বার্থ হাসিল করতে চাইবে। কিন্তু আমরা সরকারের পক্ষ থেকে এলাকায় যাতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকে তার জন্য কাজ করে যাবো।
অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে আমরা কাজ করে যাচ্ছি, পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে নদী পথসহ এলাকায় পুলিশি টহল আরো জোরদার করা হবে।