ঢাকা: আলী রিয়াজের বক্তব্য এমন শুনলে হনে হয় তিনি দেশের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী।

আলী রিয়াজ গংরা আসলে বাংলাদেশকে কোথায় নিয়ে যেতে চায়?

আর এই কমিশনটি একটি পুরুষপ্রধান, ক্ষমতাকেন্দ্রিক ক্লাবে পরিণত হয়েছে, যেখানে দেশের বাস্তব জনসংখ্যাগত ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের কোনো প্রতিফলন নেই।

আর এই কমিশনটি একটি পুরুষপ্রধান, ক্ষমতাকেন্দ্রিক ক্লাবে পরিণত হয়েছে, যেখানে দেশের বাস্তব জনসংখ্যাগত ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের কোনো প্রতিফলন নেই।

উল্লেখ করতেই হয়, কোন সংবিধান বিশেষজ্ঞ না আলী রিয়াজ।

তাঁর কিভাবে সক্ষমতা হয় এই দেশের সংবিধান সংশোধন করতে? একজন অক্সফোর্ড থেকে সংবিধান বিষয়ে ডক্টরেট করা ড কামালের সংবিধানে হাত দেওয়া তার পক্ষে কি সম্ভব?

যোগ্যতার দিক থেকেও সম্ভব না গ্রহণযোগ্যতা এবং রাজনীতির দিক থেকেও সম্ভব না! সবদিকেই বেকার তিনি।

আলী রিয়াজ বলেছেন, রাষ্ট্র সংস্কারে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের সংলাপ কোনো কারণে ব্যর্থ হলে তার দায়ভার সংশ্লিষ্টদের সবাইকে ‘নিতে হবে’।

তিনি বলেন, “যদি আমরা কোথাও ব্যর্থ হই, সে ব্যর্থতা আমাদের সকলের। কমিশনের ব্যর্থতা যদি হয় তাহলে এটা সকলের মিলে ব্যর্থতা হবে। সেই জায়গায় আমাদেরকে বিবেচনা করতে হবে।

ব্যর্থ হওয়ার কোন সুযোগ নেই। যে দায় দায়িত্ব আমাদের উপর অর্পিত হয়েছে। সে দায়িত্ব রাজনৈতিক দল হিসেবে আপনাদের উপর আমরা তার অংশীদার হয়েছি মাত্র।”

তিনি বলেন, “বাংলাদেশের মানুষ, আপনারা সকলে, আপনাদের কর্মীরা প্রাণ বাজি রেখে লড়াই করেছিলেন বলে আমরা এখানে আসতে পেরেছি। সেই জায়গার সেই স্মৃতি, সেই পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করলে আমাদের উপর যে দায়িত্ব, সে দায়িত্ব পালনে আমাদের চেষ্টার কোন ঘাটতি থাকার কথা নয় এবং আপনারা সেই চেষ্টা করছেন। আমরা সকলে মিলে সেই চেষ্টা করছি।”

উল্লেখযোগ্য যে, চলতি মাসের মধ্যেই ষড়যন্ত্রমূলক জুলাই সনদ চূড়ান্ত করার লক্ষ্য ঠিক করে কাজে নেমেছে এই কমিশন।

বাংলাদেশ আজকের সময়ে দাঁড়িয়ে এক চরম রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক সংকটের মুখোমুখি।

যেখানে রাষ্ট্রীয় কাঠামো, সংবিধান ও জাতির অস্তিত্ব হুমকির সম্মুখীন হয়েছে।

আনতে চাইছে জুলাই সনদ। ড. ইউনুসের নেতৃত্বে কিছু তথাকথিত উপদেষ্টার ছত্রছায়ায় “জুলাই সনদ” আনার কু প্রচেষ্টা চলছে।

দেশের সার্বভৌম সংবিধান বাতিল করে নতুন একটি সরকারব্যবস্থা চাপিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টায় মেতে উঠেছে জঙ্গী বাহিনী।

আর এর পক্ষে জোর গলায় কথা বলছেন আলী রিয়াজ।

তিনি বা তারা দেশের সংবিধান স্থগিত করে নতুন সংবিধান প্রণয়নের কাজ শুরু করেছে। যা রাষ্ট্র ধ্বংসের সামিল।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *