ঢাকা: বরাবর দেখা গেছে, সহজ স্বীকারোক্তি দেন আহসান এইচ মনসুর।
জুলাই ষড়যন্ত্র বিপ্লবের পর হঠাৎ বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর হয়ে যাওয়া আহসান এইচ মনসুর।
দেশের অর্থনীতি এবং ব্যাংক ব্যবস্থা খুব বিশৃঙ্খল অবস্থা পার করছে। পুরো হযবরল অবস্থা। শুধু সৎ লোক দিয়ে কাজ হয় না। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে দক্ষ এবং পেশাদার লোক না হলে এমনটাই হয়।
বিনিয়োগ ও ব্যবসা বাণিজ্য এক প্রকার স্থবির হয়ে আছে।
দেশের অর্থনীতি ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে,
চারিদিকে হাহাকার! মেটিকুলাসলি বাংলাদেশ ধ্বংসের পাঁয়তারা!
মহাজনের ম্যাজিকে যখন গভর্নর স্বয়ং নিজে টাকা পাচার করে! রক্ষক-ই যখন ভক্ষক হয় তখন দেশের অর্থনীতির অবস্থা খারাপ তো হবেই!
লাল বিপ্লবীদের এতে হতাশ হবার কিছু নেই।
এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, বাংলাদেশের আর্থিকখাতের অবস্থা পাকিস্থানের চেয়েও খারাপ। অর্থনৈতিক সংকট কাটাতে আমরা টাকা ছাপাচ্ছি না।
আহসান এইচ মনসুরের লাগামহীন গাঁজাখুরি ও অসংলগ্ন কথাবার্তা সবসময় দেখা যাচ্ছে।
পাশাপাশি জামায়াতী দখলদারদের হাতে ব্যাংকগুলো তুলে দিয়ে যেই অরাজকতা, স্বেচ্ছাচারিতার ব্লাংক চেক দিয়েছে সে তাতে ব্যাংকগুলোর অবস্থা আরো করুণ হবে।
এবার আবারো সহজ স্বীকারোক্তি দিচ্ছেন তিনি।
দেশের আর্থিক খাত বর্তমানে ‘মারাত্মক ঝুঁকির’ মধ্যে আছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
তিনি বলেন, ‘সরকার আর্থিক খাতকে উন্নত করতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে। প্রথমত, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। দাম স্থিতিশীল না হলে কিছুই সম্ভব নয়।
দ্বিতীয়ত, আর্থিক খাতের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে হবে, যা বর্তমানে মারাত্মকভাবে ঝুঁকির মধ্যে আছে।’
বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে কেয়ার বাংলাদেশের উদ্যোগে আয়োজিত ‘দ্য নেক্সট ফ্রন্টিয়ার: ড্রাইভিং ডেভেলপমেন্ট উইথ মার্কেটস, ক্যাপিটাল অ্যান্ড ইনোভেশন’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে এইসব কথা বলেন গভর্নর।
তিনি জানান, ব্যাংকিং খাতকে স্থিতিশীল করতে একটি পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে, যা ধাপে ধাপে বাস্তবায়নে তিন থেকে চার বছর সময় লাগবে। তবে এটি করা সম্ভব এবং বাংলাদেশ ব্যাংক সেই লক্ষ্য অর্জনে কাজ করছে।