ঢাকা: যে মৃত্যুগুলো হয়েছে, এই মৃত্যু চাওয়া হয়েছিলো। এই মৃত্যুর জন্যেই এনসিপি মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ করেছে।
তবে এর সাথে মুজিবের কবরের দিকে তারা আর আগ বাড়তে পারেনি। তার আগেই তাদের পলায়ন করতে হয়েছে।
বঙ্গবন্ধুর জন্মভূমি গোপালগঞ্জে গিয়ে ”মুজিব মুর্দাবাদ” স্লোগান দেওয়া শুধুমাত্র রাজনৈতিক স্লোগান নয় এটি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও জাতীয় আবেগের উপর আঘাত।
সাপের লেজে পা দিয়ে টোকাইরা বলছে, আয় কামড়া?
এই পরিকল্পিত উস্কানি ছিল এমন একটি পদক্ষেপ, যার ফলাফল সহিংসতাই হওয়ার কথা। সেনাবাহিনী, পুলিশ তো জামাতের হয়ে কাজ করেছে। এখানে জনগণের বিপক্ষে গিয়ে বুট জুতা দিয়ে পিষে ফেলা হয়েছে নিরীহ মানুষকে!
এগুলো গণতন্ত্র হতে পারে না। এগুলো দেশের আদর্শ হতে পারে না।
ঘটনার পর যখন স্থানীয় মুক্তিযুদ্ধ প্রেমীরা ক্ষুব্ধ হয়ে প্রতিবাদে নেমে আসে, তখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী হস্তক্ষেপ করে।এবং এতে মুজিব প্রেমী অনেকে প্রাণ হারায়।
এনসিপির উস্কানি ছাড়া কি গোপালগঞ্জে রক্ত ঝরতো? না, ঝরতো না।
এখানে সরকার কেও জবাবদিহিতা করতে হবে কারণ এখানে আরও দুঃখজনক বিষয় হলো, যারা জনগণকে উস্কে দিলেন, তারা নিজেরা সেনাবাহিনী ও পুলিশের নিরাপত্তায় সুরক্ষিত থেকে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেছেন।অপরদিকে অন্যদের গুলি করে কেন হত্যা করা হলো?
গোপালগঞ্জের ঘটনায় এনসিপি উস্কানির রাজনীতি করেছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গুলি চালিয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে, এবং সরকার নৈতিক দায় এড়াতে পারে না।
শুধু বিবৃতি দিয়ে হামলাকারীর শাস্তি চাইলে হয় না।
সোশ্যাল মিডিয়া ভরে গেছে এনসিপির এই কার্মকাণ্ডের আলাপে।
আজকের দিনে যারা “নতুন বাংলাদেশ” নামক ফ্যান্টাসির কথা বলছেন, তারা নিজেরাই ঠিক করছেন কে মরবে, কে বাঁচবে, আর কোন লাশ কখন কোন দূতাবাসে যাবে!
মানুষ মারবে, এটা একদম পূর্ব পরিকল্পিত ছিলো। তাহলে ঠেকাবে কে? পুলিশ সেনাবাহিনী তো তাদের কেনা গোলাম।
গোপালগঞ্জে এই মৃত্যু ছিলো চাওয়া। সেনাবাহিনীর হাতেও রক্ত মাখা হলো।
সংঘাত বাড়তে থাকলে আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন বাধাগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, উত্তেজনা কমানোর উদ্যোগ নিক সরকার। এ সংঘাত এড়ানো যেত কি-না, সেটাও ভাবাচ্ছে তাদের।
