ঢাকা: এটাকে ঠিক চাপ বলা‌ যাবে না। বলা‌ যাবে না যে চাপে আছে ইউনূস সরকার। কারণ এনসিপি,‌জামাতকে নিয়েই তাঁর সংসার।

টোকাইদের নির্দেশ দেন আর টোকাইরা সেভাবে চলে। তবে স্বার্থে আঘাত লাগলে মাঝেমধ্যে একটু ফোঁস করে ওঠে এনসিপি। তবে জামাত কিন্তু ফোঁস করে না।

প্রধান উপদেষ্টার ধরেই তো এনসিপির আস্ফালন, তাই এরা ইউনূসের সহযোদ্ধা। মুখে মুখে যতই ফাল দিক, নিজের অংশ পেয়ে গেলে কিসের বিরোধিতা?

আর‌ এই কিংস পার্টিকে দেশের মানুষ এখন গুণার মধ্যেও ধরে না।

বলা হচ্ছে আসলে প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর ইউনুস অনেক চালাক তিনি যখনই কোনো চাপে পড়ে ঠিক তখনই রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে বৈঠক করে।

চাপ কিসের? সবাই তো জঙ্গী, সবার লক্ষ্য এক, দেশ ধ্বংস! শুধু মাঝখানে ইউনূসের লক্ষ্যটা একটু আলাদা। তিনি সিংহাসন দখল করে আছেন, এবং থাকতে চান।

তিনি যখন সুখে থাকেন তখন মানবাধিকার নামে দেশ ধ্বংসের পাত পাতে। তখন রাজনৈতিক দলগুলোর প্রয়োজন হয়না।

প্রধান উপদেষ্টা চারটি রাজনৈতিক দলের সাথে বৈঠক করছেন।

বিএনপি- জামাত- ইসলামি আন্দোলন ও এনসিপি।

ডক্টর মুহাম্মদ ইউনুস অলিম্পিক মশাল ছেড়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য বিমানবন্দরে নামেন তখন বলেছিলেন- আমার কথা শুনতে হবে।

গত এক বছরে তিনি কারো কথা শোনেননি,যা নিজে মনে করেন সমালোচনা হলেও সেটা করেন।

মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছিলেন-
উনি কেবল শোনেন আর হাসেন।

এনসিপি তার দল- এটা তো এখন স্পষ্ট,তিনি যেখানে যান, যা করেন এনসিপিকে সাথে রাখেন।

তার সময়ে যদি নির্বাচন হয় তিনি এনসিপির জন্য কাজ করবেন-
প্রশাসন সেনাবাহিনীকে এদের জন্য
কাজ করাবেন এটা কেবল বেকুব ছাড়া সবাই জানে।

গত এক বছর উপদেষ্টাদের মধ্যে সবচেয়ে অচল হলেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা।

তবে তিনি যেহেতু ডক্টর ইউনুস এর সিলেকশন এবং গ্রামীন ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা ফলে তার ব্যর্থতা ডক্টর ইউনুস এর চোখে হয় ধরা পড়ে না বা এড়িয়ে যান অথবা এটা তার একধরনের একগুঁয়ে মনোভাব।

রাজনৈতিক দলগুলোকে ডেকে দৃশ্যমান ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।

জুলাই অভ্যুত্থানের পর ‘পূর্ণ সমর্থন’ নিয়ে ক্ষমতায় বসা এই অন্তর্বর্তী সরকার গত এক বছরে কয়েক দফা এমন পরিস্থিতি মুখোমুখি হয়েছে।

প্রতিবারই পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকারপ্রধানকে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে বসতে দেখা গেছে।

এবার সরকারপ্রধানের ঐক্যের আহ্বানের পর বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা বলছেন, সরকার কোনো ‘সংকটে’ পড়লে তখনই কেবল ডাকা হয় রাজনৈতিক দলগুলোকে।

বাকি সময়টাতে নিজে নিজে সিদ্ধান্ত নিতে গিয়ে সরকার পরিস্থিতি ‘বেসামাল’ আর ‘লেজেগোবরে’ করে ফেলে।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *