ঢাকা: ইউনুসের নেতৃত্বাধীন সরকার কথিত জুলাই সনদ ঘোষণা করতে অস্বীকৃতি জানালে ‘টোকাই’দের রাজনৈতিক দল এনসিপি’ র প্রধান নেতা নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বাধীন দল’ জুলাই সনদ’ আদায়ে মরিয়া হয়ে উঠেছে।
তবে একাত্তর হচ্ছে বাঙালির একমাত্র মুক্তির সনদ। একমাত্র একাত্তর ছিলো বৈষম্যের বিরুদ্ধে গর্জে উঠা জাতির মুক্তির মন্ত্র।
একাত্তর সনদ একমাত্র সনদ। জুলাই সনদ কি?
জুলাই হচ্ছে জঙ্গীদের অভ্যুত্থান, সন্ত্রাসীদের মুক্তি, মবের রাজত্ব । ৫ আগস্টের পর বাংলাদেশকে রসাতলে নিয়ে গিয়েছেন ইউনূস সাহেব।
ইউনুসের ম্যাটিকিউলাস প্লানে জঙ্গী-সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর ষড়যন্ত্র হলো জুলাই।
সারজিস আলম থেকে শুরু করে হাসনাত আব্দুল্লাহসহ সকল এনসিপি সদস্যরা দেশকে তিলে তিলে ধ্বংস করছে। এরা কাদের শিষ্য তা আর বলতে হবে না।
এরা দেখতে শুনতে, চলনে বলনে আধুনিক কিন্তু কাজকর্ম ধর্মান্ধ। এরা সকলে মিলে নতুন প্রজন্মের মাথায় ঢুকিয়ে দিচ্ছে দেশদ্রোহিতা, পাকিস্তানপ্রীতি, মব।
বাংলাদেশ আজ এক চরম রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক সংকটের মুখোমুখি। যেখানে রাষ্ট্রীয় কাঠামো, সংবিধান ও জাতির অস্তিত্ব হুমকির সম্মুখীন, সেখানে একটি চিহ্নিত গোষ্ঠী ড. ইউনুসের নেতৃত্বে কিছু তথাকথিত উপদেষ্টার ছত্রছায়ায়
“জুলাই সনদ” হলো চক্রান্ত। সংবিধান আজ হুমকির সম্মুখীন হয়েছে।
চক্রান্ত করে জুলাই সনদ করে দেশের সার্বভৌম সংবিধান বাতিল করে নতুন একটি সরকারব্যবস্থা চাপিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টায় মেতে উঠেছে।
এদের লক্ষ্য একটাই গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রকে ভেঙে, জনগণের অধিকার কেড়ে নিয়ে এক দমনমূলক, জঙ্গিবাদনির্ভর শাসন কায়েম করা।
সংবিধান নিয়ে ছেলেখেলা খেলছে এরা খুব অনায়াসভাবে।
এই দল দেশের সংবিধান স্থগিত করে নতুন সংবিধান প্রণয়নের কাজ শুরু করেছে। এক যুগান্তকারী বিশ্বাসঘাতকতায় এই সংবিধানকে বাতিল করার পাঁয়তারা চলছে দেশে।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ছাত্র-জনতাকে নিয়ে রাজপথে নামবেন; আদায় করেই ছাড়বেন জুলাই সনদ।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় রংপুরের পীরগঞ্জে শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারত শেষে এই মন্তব্য করেন নাহিদ।
নাহিদ ইসলাম বলেন, “জুলাই ঘোষণাপত্র এবং জুলাই সনদ নিয়ে যে টালবাহানা শুরু হয়েছে, আমরা স্পষ্টভাবে হুঁশিয়ারি দিতে চাই- যদি আপনারা মনে করে থাকেন, যদি সরকার বা অন্য কেউ মনে করে থাকে, এই যে হাজারো-লক্ষ মানুষ যারা রাজপথে নেমে এসেছিল, তারা ঘরে ফিরে গিয়েছে; তাহলে আপনারা ভুল ভাবছেন”।