ঢাকা: বিগত দশ মাসে বেহাল হয়ে পড়েছে বাংলাদেশের অর্থনীতি। বাংলাদেশের অর্থনীতি একটি ভয়াবহ চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্রের শিকার।
ড. মুহাম্মদ ইউনুস রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখলের পর দেশের অর্থনীতি এক ভয়াবহ বিপর্যয়ের মধ্যে পড়েছে।
জানা যাচ্ছে, তাঁর শাসনামলে দেশে লুটপাটের মাধ্যমে এক লাখ হাজার কোটি টাকার বেশি অর্থ পাচার হয়েছে বিদেশে। এসব টাকা বাংলাদেশের গরিব মানুষের, শ্রমজীবী মানুষের টাকা।
বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে দেশের কলকারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
শ্রমিক বেকার হয়ে বসে আছে, গার্মেন্টস সেক্টর থেকে শুরু করে কৃষিভিত্তিক শিল্প, ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা হিমশিম খাচ্ছে। নতুন বিনিয়োগ নেই।
গরিব আরো গরিব হচ্ছে, ধনী আরো ধনী হচ্ছে। উন্নয়নের নামে ধ্বংসযজ্ঞ শুরু হয়েছে।
বাঙালি আজ জাঁতাকলে পড়ে আছে মুহাম্মদ ইউনূস ক্ষমতায় আসার পর।
মৌলবাদী, জঙ্গিবাদী ও সাম্রাজ্যবাদীদের সহায়তায় দেশ চলছে এখন।
যারা পড়াশোনা করে শিক্ষিত হয়েছে, সেই তরুণেরা কেউ দেশে থাকে না এখন। তারা দেশ ছাড়ছে, এই দেশের প্রতি আশা ভরসা ছেড়ে।
ড. মুহাম্মদ ইউনুস রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখলের পর দেশের অর্থনীতি এক ভয়াবহ বিপর্যয়ের মধ্যে পড়েছে।
জানা যাচ্ছে, তাঁর শাসনামলে দেশে লুটপাটের মাধ্যমে এক লাখ হাজার কোটি টাকার বেশি অর্থ পাচার হয়েছে বিদেশে। এসব টাকা বাংলাদেশের গরিব মানুষের, শ্রমজীবী মানুষের টাকা।
বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম আকাশ ছুঁয়েছে, কিন্তু আয় বাড়েনি। অনেক পরিবার এখন দিনে তিনবেলা খেতে পারছে না।
শেখ হাসিনার আমলে ডাল ভাত খেয়ে মানুষ বাঁচতো। এখন ডাল ভাত ও জুটছে না।
ড. ইউনুস জাতিকে অনাহার ও অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিচ্ছেন।
আওয়ামী লীগের উপর নিজের সমস্ত দোষ চাপিয়ে তিনি নিজেকে পরিষ্কার রাখতে চাইছেন।
উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন,
“অর্থনীতি ‘শূন্য’ না, বরং শূন্যেরও নিচে। বিশাল পরিমাণ দেনা রয়েছে। বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ শেষ। ব্যাংকিং ব্যবস্থা ধসে পড়েছে।”
যুক্তরাজ্য সফরের দ্বিতীয় দিন বুধবার লন্ডনে গবেষণা প্রতিষ্ঠান রয়্যাল ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স আয়োজিত সংলাপে অংশ নেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আগের সরকার ঘুষ খাওয়ার জন্য যেসব মেগা প্রকল্প নিয়েছিল সেগুলো পরিশোধের সময় এসেছে। কিন্তু আমাদের কাছে কোনো অর্থ নেই। ব্যাংক, নন-ব্যাংক সব উৎস থেকে প্রায় ২৩৪ বিলিয়ন ডলার বের করে ফেলা হয়েছে বলে টাস্কফোর্সের প্রতিবেদনে এসেছে। এটা নথিভুক্তভাবে প্রমাণসহ তুলে ধরা হয়েছে।”
অথচ আমরা যদি দেখি, দেশের মানুষ যখন রিজার্ভের চিন্তা আর জিনিসপত্রের দামের চাপে অস্থির, তখন ইউনূস সাহেব বিশ্বভ্রমণে ব্যস্ত!
১০ মাসে ১১ টি দেশ ভ্রমণ করেছেন। ২৬০ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা খরচ।
আসলে তাঁর সব মিথ্যা আড়ম্বর। কারণ জানানো হলো, তিনি ‘কিংস চার্লস হারমনি অ্যাওয়ার্ড’ পাচ্ছেন। কিন্তু আজব ব্যাপার হলো, কিংস ফাউন্ডেশনের ওয়েবসাইটে মনোনীতদের তালিকায় ইউনূসের নামই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না!
বলা হলো, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টার্মারের সাথে জরুরি মিটিং হবে। কিছুক্ষণ পর ইউনূসের টিম থেকে জানানো হলো, মিটিং হওয়ার সম্ভাবনা শূন্য।
এখন ধারণা করা হচ্ছে, আসল উদ্দেশ্য বিএনপি নেতা তারেক রহমানের সাথে গোপন বৈঠক। ১৩ জুন হবে বৈঠক।