ঢাকা: ইউনূস গদিতে বসার পরেই দেশে রাজাকাররা চাঙ্গা হয়ে উঠেছে। মৃত রাজাকারদের ছবি টানিয়ে উল্লাস করছে।
টিএসসিতে শিবির দন্ডপ্রাপ্ত এবং আত্মস্বীকৃত রাজাকারদের ছবি টানানোর মতো আস্পর্ধা দেখায়।
তারপর বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযুদ্ধপন্থী এবং প্রগতিশীল ধারার শিক্ষার্থীদের ব্যাপক প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি রাজাকারদের ছবিগুলো সরিয়ে ফেলে টিএসসি থেকে।
ছবি সরানোর মাধ্যমেই প্রমাণিত হয় বঙ্গবন্ধু কন্যার সরকার, যাদের বিচারের মাধ্যমে ফাঁসি কার্যকর করেছিলো, তারা কেউ নিরপরাধ ব্যক্তি ছিলো না।
তবে যাই হোক, রাজাকারদের ছবি টানানোর মতো পাখা তো গজিয়েছে এদের। এই ডানা কাটতে না পারলে দেশের সমূহ বিপদ।
দেশের বাম ধারার দলগুলোর নেতারা ঐক্যবদ্ধভাবে যুক্তফ্রন্ট গঠন করে সামাজিক বিপ্লব তৈরি না করতে পারলে, টিএসসিতে ‘রাজাকারের’ ছবি টানানোর ঘটনা সারা দেশে আরও ‘বেগবান’ হবে বলে মনে করেন সমাজতান্ত্রিক চিন্তাবিদ এমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী।
তাঁর মতে, বর্তমানে বাংলাদেশ একটা উপনিবেশে পরিণত হয়েছে, যার শাসনের দায়িত্বে আছে বুর্জোয়ারা।
এদিন, শনিবার দুপুরে রাজধানীর সেগুন বাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম মোর্চা আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এই মত দেন।
জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে মঙ্গলবার ‘৩৬ জুলাই: আমরা থামবো না’ শীর্ষক কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে যুদ্ধাপরাধে দণ্ডিত নেতাদের ছবির প্রদর্শনী করে জামায়াতে ইসলামীর ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবির, যা শিক্ষারর্থীদের মধ্যে ক্ষোভের জন্ম দেয়।
একাত্তরে জামায়াত বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সহায়তায় ‘আল বদর’ ও ‘আল শামস’ বাহিনী গঠন করেছিল।
সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, “এখন বাংলাদেশ একটা উপনিবেশে পরিণত হয়েছে, আগে ব্রিটিশ উপনিবেশ ছিল, পাকিস্তানের উপনিবেশ ছিল।
এখন স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশে ঔপনিবেশিক শাসকরা, যা করে বুর্জোয়া শাসকরা, সেই একইভাবে শাসন করছে।
“আজকে সারা বিশ্বে পুঁজিবাদ মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে, এটা বাংলাদেশেও।
তিনি বলেন, “সরকার পতনের মাধ্যমে মনে হয়েছিল ফ্যাসিবাদ শেষ হয়ে গেছে, কিন্তু পুঁজিবাদী ফ্যাসিবাদ চরম মাত্রায় রূপ নিয়েছে। যার কারণে দক্ষিণপন্থিরা শক্তিশালী হয়ে উঠছে। মার্কিন সাম্রাজ্যবাদী পুঁজিবাদীদের আধিপত্য ঘটছে।”