ঢাকা: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন কি আদৌ সম্ভব?
জাতিসংঘ কি রোহিঙ্গাদের ফিরে যাবার মত কোনো অবকাঠামো সেদেশে নির্মাণ করেছে?
না তেমন কোনো কিছুই নেই। উল্টো গত কয়েকমাসে আরো লক্ষাধিক নিঃস্ব রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।
আরাকান আর্মি ক্ষমতায়, এরা চায় না সেদেশে রোহিঙ্গা থাকুক। তাহলে বাংলাদেশ তাদেরকে ফেরত পাঠাবে, কার কাছে পাঠাবে?
ডক্টর ইউনূস, আপনি মানবিক সহায়তা কার জন্যে পাঠাবেন? আরাকান আর্মি কি রাজি হবে?
আসলে এইসব নাটক। জান্তা সরকার যদি কুমির হয়, করিডোর হলো খাল।
আরাকান আর্মির মধ্যে বাংলাদেশ, রোহিঙ্গা ও মুসলিম বিদ্বেষ বিদ্যমান! তারা রোহিঙ্গাদেরকে রাখাইনের নাগরিক হিসেবে স্বীকার করে না। বাংলাদেশী মনে করে। প্রতিদিন তাই তারা রোহিঙ্গাদের উপর গণহত্যা চালিয়ে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিচ্ছে।
ফলে আরাকান আর্মির সাথে অন্তর্বর্তী সরকারের সুসম্পর্ক করার যে প্রচেষ্টা সেটার দ্বারা বাংলাদেশ বা রোহিঙ্গা কখনোই লাভবান হবে না।
এর মাধ্যমে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনও কখনো সম্ভব নয়।
এর মাধ্যমে উল্টো বাংলাদেশের কক্সবাজার ও পার্বত্য চট্টগ্রামে ব্যাপক অস্থিতিশীলতা তৈরি হবার সম্ভাবনা রয়েছে।
হচ্ছেও তাই। আরাকান আর্মির মধ্যে বাংলাদেশ, রোহিঙ্গা ও মুসলিম বিদ্বেষ বিদ্যমান! তারা রোহিঙ্গাদেরকে রাখাইনের নাগরিক হিসেবে স্বীকার করে না।
বাংলাদেশী মনে করে। প্রতিদিন তাই তারা রোহিঙ্গাদের উপর গণহত্যা চালিয়ে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিচ্ছে।
ফলে আরাকান আর্মির সাথে অন্তর্বর্তী সরকারের সুসম্পর্ক করার যে প্রচেষ্টা সেটার দ্বারা বাংলাদেশ বা রোহিঙ্গা কখনোই লাভবান হবে না।
এর মাধ্যমে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনও কখনো সম্ভব নয়।
এর মাধ্যমে উল্টো বাংলাদেশের কক্সবাজার ও পার্বত্য চট্টগ্রামে ব্যাপক অস্থিতিশীলতা তৈরি হবার সম্ভাবনা রয়েছে।
হচ্ছেও তাই।
তবে আরো একটি বিষয় হচ্ছে রেয়ার আর্থ মিনারেল।
মিয়ানমার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতিতে পরিবর্তনের আভাস পাওয়া যাচ্ছে, যার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে ‘রেয়ার আর্থ মিনারেল’ বা বিরল খনিজ।
অর্থাৎ, ট্রাম্পের ভিন্ন কৌশল কাজ করছে। যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমারের বিরল খনিজ সম্পদকে চীনের একক নিয়ন্ত্রণ থেকে বের করে নিজস্ব সরবরাহ শৃঙ্খলে যুক্ত করার চেষ্টা করছে।
চিনের সোনার ডিম পাড়া হাঁস এটি।
উল্লেখযোগ্য যে, দীর্ঘসময় ধরে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মূল ভিত্তি ছিল আন্তর্জাতিক চাপ।
কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র যদি মিয়ানমারকে তাদের ভূরাজনৈতিক স্বার্থের অংশ করে নিতে চায়, তাহলে সেই চাপের কোনো অস্তিত্ব থাকবে না।
আর এতে বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের সম্ভাবনা একেবারে শূন্যের ঘরে নামবে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, রোহিঙ্গা ইস্যু যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতিতে আর অগ্রাধিকার পাচ্ছে না।
সম্প্রতি মিয়ানমারের সামরিক জান্তাঘনিষ্ঠ চার ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
দেখা গেছে, ট্রাম্পের অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের চিঠির জবাবে মিয়ানমারের সেনাপ্রধান ও জান্তা নেতা মিন অং হ্লাইং পাল্টা চিঠি পাঠিয়ে তার নেতৃত্বের প্রশংসা করার পর এই ঘোষণা আসে।
এদিকে, মিয়ানমারের কাচিন রাজ্যে মজুদ বিরল খনিজের বড় অংশ বিদ্রোহী গোষ্ঠী কাচিন ইনডিপেনডেন্স আর্মির নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
এমন অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্র একটি প্রস্তাব বিবেচনা করছে—সরাসরি জান্তার সঙ্গে আলোচনা করে কাচিন ইনডিপেনডেন্স আর্মির (কেআইএ) সঙ্গে একটি শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নের চেষ্টা করা।
এছাড়া তাদের আরেকটি প্রস্তাবে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র জান্তা সরকারকে পাশ কাটিয়ে কেআইএর সঙ্গে সমঝোতায় যাবে। তবে এ সম্ভাবনা কম বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
তবে বাংলাদেশের জন্য সবদিক থেকেই বড় খারাপ দিন অপেক্ষা করছে এটি বলাই যায়। চারদিকে পরিস্থিতি এলোমেলো হয়ে গেছে।
যুক্তরাষ্ট্র যদি মিয়ানমারকে ভূরাজনৈতিক স্বার্থের অংশ করে নেয়, তাহলে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রত্যাবাসনের সম্ভাবনা আরো ক্ষীণ হয়ে যাবে। এবং বাংলাদেশ আরো বিপদে পড়বে।