ঢাকা: বাংলাদেশের রাজনৈতিক সামাজিক, অর্থনৈতিক কোনো পরিস্থিতি ভালো নয়।

মানবাধিকার মুহাম্মদ ইউনূসের শাসনে হুমকির মুখে পড়েছে। সাধারণ জনগণের শান্তি নেই।

যে প্রতিষ্ঠানগুলো জনগণকে রক্ষা করার জন্য ছিল, সেগুলো ভেঙে পড়েছে। আদালত জনতার চাপে নতি স্বীকার করছে, পুলিশ রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বাস্তবায়নের হাতিয়ার হয়ে উঠেছে, আর সেনাবাহিনী নীরব দাঁড়িয়ে আছে।

দেশ যখন অরাজকতার গভীরে তলিয়ে যাচ্ছে, তখনও তারা হস্তক্ষেপ করতে চাইছে না।

এগুলো শাসন নয়; দমন। এটি গণতন্ত্র নয়; এটি স্বৈরাচার।

বাংলাদেশে এখন সত্য বলা এক সাহসী এবং একইসঙ্গে বিপজ্জনক কাজ।

২০২৪ সালের আগস্ট থেকে ২০২৫ সালের জুলাই পর্যন্ত ৪৯৬ জন সাংবাদিক হয়রানির শিকার হয়েছেন।দায়িত্ব পালনের সময় প্রাণ হারিয়েছেন তিনজন।

সাংবাদিকদের কোনো স্বাধীনতা নেই। তাঁরা আজ প্রশ্ন পর্যন্ত করতে পারেন না।

সাংবাদিক ও লেখকদের জোরপূর্বক আদালতে টেনে নেওয়া হয় মনগড়া হত্যা ও হামলার মামলায়। যেসব ঘটনার সঙ্গে তাদের কোনো সংশ্লিষ্টতাই ছিল না।

শুধু তাই নয়, শত শত সাংবাদিকের প্রেস অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড বাতিল করা হয়েছে।

এখন আইন হয়েছে ইউনূসের কেনা গোলাম।

বাংলাদেশে আদালত আর আইনের সেবা করে না; এটি এখন ক্ষমতা ও ভয়ের সেবা করছে। যে আদালত নাগরিকের অধিকার রক্ষার জন্য প্রতিষ্ঠিত ছিল, তা পরিণত হয়েছে ভয় দেখানো, ও অন্যায় শাস্তি দেওয়ার হাতিয়ারে।

উন্মত্ত জনতা ও উগ্র গোষ্ঠীগুলো দাপিয়ে বেড়াচ্ছে আরামে। তারা জানে আদালত তাদের জবাবদিহির আওতায় আনবে না।

বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি দিনে দিনে খারাপ হচ্ছে।

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর রাজনৈতিক সহিংসতা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে।

নারীদের সুরক্ষা বলতে আর নেই।

জঙ্গিবাদ বিস্ফোরিত হয়ে এখন রূপ নিয়েছে নারীদের বিরুদ্ধে এক নির্মম অভিযানে।

নারীরা অবরুদ্ধ অবস্থায় বসবাস করছে, শারীরিক সহিংসতা আর পদ্ধতিগত ভীতিপ্রদর্শন দুই দিক থেকেই তাদের কোণঠাসা করে দেওয়া হচ্ছে।

এখন খোলাখুলি গণধর্ষণের হুমকি দেয়া হচ্ছে নারীদের সোশ্যাল মিডিয়ায়।

নারী শিক্ষার্থী ও পেশাজীবীরা পোশাকের কারণে হামলার শিকার হয়েছেন, মত প্রকাশের জন্য হয়রানি সহ্য করেছেন, আর উগ্র মতবাদের বিরোধিতা করার জন্য মারধরের শিকার হয়েছেন। এমনকি সাধারণ রাস্তায় থাকা নারীরাও রেহাই পাচ্ছেন না।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *