ঢাকা: নির্বাচন দেরি করার, নির্বাচন এড়িয়ে যাওয়ার পাঁয়তারা শুরু হয়ে গেছে দেশে।

নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন আদৌ অনুষ্ঠিত হবে কি না তা নিয়ে এখনো শঙ্কা রয়েছে।

নির্বাচন কি হবে—এই প্রশ্ন এখন প্রতিটি সচেতন নাগরিকের মনে। নানা ইঙ্গিত ও পেছনের কৌশল দেখে ধারণা করা যায়, একটি শক্তিশালী চক্র পরিকল্পিতভাবে দেশের গণতান্ত্রিক ধারা থামিয়ে দিতে চাইছে।

জামায়াত ও এনসিপি মিলে এক অদৃশ্য ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। নির্বাচন ঘিরে তারা প্রথমে অরাজকতা তৈরি করছে—সহিংসতা, বিভ্রান্তি এবং বিশৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে দেশকে এমন এক অবস্থায় নিয়ে যাবার চেষ্টা করছে, যেখানে খুব সহজে বলা যাবে “নির্বাচনের মতো পরিস্থিতি নেই।”

অথচ দেশের এই অরাজক পরিস্থিতির জন্য দায়ী একমাত্র এরাই।

তখনই এই জঙ্গীদের আসল উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন হবে।

এই সুযোগে জামায়াত বর্তমান সরকারের ছায়ায় থেকেই ফের ক্ষমতার স্বাদ নিতে শুরু করবে—অঘোষিত শরিক হয়ে দেশ চালানোর চেষ্টা করবে।

এখনই সেটা করছে জামায়াত এনসিপি মিলে। বর্তমানের বাংলাদেশে গণতন্ত্র নয়, বরং ষড়যন্ত্রই মূল চালিকা শক্তি।

তালবাহানার শেষ নেই নির্বাচন নিয়ে। নির্বাচন করার জন্য শত জনরোষ তৈরি হলেও নির্বাচনের সময় যত ঘনিয়ে আসবে, ওয়াশিংটনের তাবেদারীতে ইউনূস ততো বেপরোয়া হয়ে উঠবে।

নির্বাচনের সময় যত ঘনিয়ে আসবে, ইউনুস টোকাই এনসিপিকে ব্যবহার করে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করে নির্বাচন আয়োজনের পরিবেশ বিঘ্নিত করার চেষ্টা করবে।

এখন নির্বাচন নিয়ে যা কথা শুনবে সব ফাউল কথা!

আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বৃহস্পতিবার বলেছেন, “অপেক্ষা করেন, কিছু দিনের মধ্যে ঘোষণা শুনবেন।”

একইদিন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, সরকারের প্রতিশ্রুত সময়েই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

“প্রধান উপদেষ্টা প্রথমে বলেছিলেন নির্বাচন এপ্রিলের প্রথমার্ধে হবে। পরবর্তী সময়ে লন্ডনে বলা হয়েছে যদি অনেকগুলো সংস্কার হয় এবং বিচারের কাজগুলো এগিয়ে যায়, সেক্ষেত্রে এটা ফেব্রুয়ারিতে হবে…সনদ বা ঘোষণাপত্র যাই হোক না কেন, যেভাবেই সনদ গ্রহণ করা হোক না কেন- নির্বাচন তার সময়মতো হয়ে যাবে।”

মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার সংস্কারসহ সব প্রস্তুতি শেষে আগামী রোজার আগে ফেব্রুয়ারির প্রথমভাগে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়ে রেখেছে।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *