ঢাকা: নির্বাচন বানচাল করার হাজারো তাল বাহানা চলছে। যদিও নির্বাচনের শুধুমাত্র একটা হাওয়া তুলে রাখা হয়েছে। পালে হাওয়া দিচ্ছে মহাজন ইউনূস।
এখন পিআর নিয়ে আবার জট শুরু হয়েছে। বিএনপি পিআর পদ্ধতি না মানলে জামায়াত ইসলামী আন্দোলন ও সমমনা দলগুলোকে নিয়ে আন্দোলনে নামার উস্কানি দেয়া চলছে ।
‘পিআর চাই’, ‘না হলে আন্দোলন’—
এমন একটা হাওয়া তোলা হচ্ছে।
এরা তো নিজেরাই ইসলামের পথে নেই।এরা পথ দেখাবে কী? নিজেরাই হাজার কৌশলী! নিজের স্বার্থ হাসিলের জন্য আন্দোলনকে হাতিয়ার বানায়।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনূস আহমাদ বলেছেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংঘাত ও সহিংসতার প্রধান ক্ষেত্র হলো নির্বাচন।
বিশেষ করে জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সংঘাত, হানাহানি ও সহিংসতা দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে। শতশত মানুষ এই রাজনৈতিক সহিংসতায় প্রাণ হারায়।
তিনি বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের পরে আমরা দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি, নির্বাচনী ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন প্রত্যাশা করেছিলাম। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি আশা করেছিলাম।
কিন্তু পরিস্থিতি আদতে কোনো উন্নতি হয়নি। বরং আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি কোনো কোনো ক্ষেত্রে আরও খারাপ হয়েছে। বিগত এক বছরের রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের তথ্য তাই বলে।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব বলেন, নির্বাচন ব্যবস্থাকে সুস্থির ও সাবলীল করতে উভয়কক্ষে আমরাসহ দেশের অনেক রাজনৈতিক সংগঠন ও বুদ্ধিজীবীরা দাবি জানিয়ে আসছে।
কিন্তু সরকার নিম্নকক্ষে পিআর নিয়ে কোনো আলোচনার এজেন্ডাই রাখে নাই। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি কতটা ভয়ংকর হতে পারে তার সাম্প্রতিক নজির দেখা গেছে গাজীপুরে।