ঢাকা: উপদেষ্টা নামক অপদেষ্টাদের মেয়াদ খুব বেশিদিন নেই আর! থলের বিড়াল বেরিয়ে আসছে!
এক একজন উপদেষ্টা টাকার পাহাড় গড়েছেন। আসলে জুলাই ষড়যন্ত্র হয়েছে জঙ্গীদের বড়লোক করার জন্যে। যে যেভাবে পারছে, যেদিক দিয়ে পারছে সেদিক দিয়ে লুট করছে আর টাকা পাচার করছে!
এরা বাংলাদেশের বারোটা বাজিয়ে দিয়েছে।
‘বর্তমান উপদেষ্টা পরিষদের অন্তত ৮ জন উপদেষ্টা সীমাহীন দু্র্নীতির সাথে জড়িত। তাদের সাথে আর্থিক চুক্তি করা ছাড়া কোন বদলি বা নিয়োগ হয় না। যার তথ্য প্রমাণ সংরক্ষিত আছে। এমনকি প্রধান উপদেষ্টার বিরুদ্ধেও গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট রেডি আছে।’
-সাবেক সচিব এ বি এম আব্দুস সাত্তার।
আর পাহাড় সমান দুর্নীতি চোখে দেখেন না স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা! জুলাই শহীদদের কবরের কাজে দুর্নীতি তাঁর চোখে পড়ে!
অভিনয়ে একদম পাক্কা। উত্তম কুমারকে হার মানাবে ইউনূস থেকে শুরু করে অপদেষ্টারা।
সাবেক সচিব সাত্তার সাহেবের বিস্ফোরক অভিযোগ: অন্তর্বর্তী সরকারের ৮ উপদেষ্টার সীমাহীন দুর্নীতির তথ্য কীভাবে আড়ালে যাচ্ছে?
আন্দোলন হয়েছে দুর্নীতি সরানোর জন্য। সবাই ক্লিন ইমেজে থাকবে। তা কী হলো এদের?
নাটকীয় স্বরে সবাই তো বলেছিলো, দেশ ভালো আছে দেশ থেকে সব দুর্নীতি এবং অপশাসন চলে গেছে ১ বছর হলো এখন তো দেশে উপদেষ্টা পরিষদ সহ সমন্বয়ক ফেরেশতাদের নিয়ে দেশ চলছে তাহলে এই উপদেষ্টা পরিষদ এবং সমন্বয়কদের এত কিচ্ছা যে ধরা পড়ছে, এবার কী হবে?
জুলাইয়ে মাস্টার মাইন্ড মাহফুজ আলম ও তার ভাইয়ের ৬ কোটি টাকার অবৈধ লেনদেন হয়েছে,জব্দ হয়েছে ব্যাংক হিসাব।
মাহফুজের আপন বড় ভাই অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে বসবাস করে। লেখাপড়ার পাশাপাশি এখানে সে পার্টটাইম একজন ‘ট্যাক্সি ড্রাইভার’।
মাহফুজের বিভিন্ন লবিং ও ফাইলিংয়ের কমিশনের অর্থ অস্ট্রেলিয়াতে তার ভাইয়ের ব্যাংক একাউন্টে জমা হচ্ছিল দীর্ঘ ৯ মাস ধরেই (Commonwealth Bank of Australia)।
হুট করে এত বিপুল পরিমাণের অর্থ লেনদেন হওয়ার ঘটনায় অস্ট্রেলিয়ান গোয়েন্দা(AUSTRAC) সংস্থার সন্দেহ হলে তারা মাহফুজের ভাইয়ের একাউন্টটি নজরে রাখে।
এর মধ্যে গত ২৪/০৭/২০২৫ মিডল ইস্ট থেকে ঐ একাউন্টে এক সাথে একটি সাড়ে ছয় কোটি টাকার লেনদেন অস্ট্রেলিয়ার গোয়েন্দা সংস্থার (AUSTRAC) নজরে আসে।
অস্বাভাবিক আর্থিক এই কার্যকলাপের দায়ে তার ভাইয়ের ব্যাংক একাউন্টটি জব্দ করা হয়।
তা কোরানের বাণী শোনানো জঙ্গীরা কী জবাব দেবে?
সাবেক সচিব ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এ বি এম আব্দুস সাত্তার অভিযোগ করেছেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের আটজন উপদেষ্টার সীমাহীন দুর্নীতির প্রমাণ তার কাছে রয়েছে।’
অন্তর্বর্তী সরকারের আটজন উপদেষ্টার ‘সীমাহীন দুর্নীতি’র প্রমাণ নিজের কাছে রয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি।
অবসরপ্রাপ্ত এই সচিব বলেন, ‘এই উপদেষ্টাদের সঙ্গে যোগাযোগ ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ হয় না, বদলিও হয় না। তবে তিনি উপদেষ্টাদের নাম বলেননি।’
শুক্রবার রাজধানীর বিয়াম মিলনায়তনে এক সেমিনারে এই অভিযোগ করেন আব্দুস সাত্তার।
আব্দুস সাত্তার তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘আমি খুবই হতাশ। আমলাদের চরিত্র না হয় খারাপ হয়ে গেছে। কিন্তু জুলাই আন্দোলনের রক্তের ওপর দিয়ে চেয়ারে বসা অন্তত আটজন উপদেষ্টার সীমাহীন দুর্নীতির তথ্যপ্রমাণ দিতে পারব।
গোয়েন্দা সংস্থার কাছে আট উপদেষ্টার দুর্নীতির প্রমাণ রয়েছে। কিন্তু কারো বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না’।এ সময় উপস্থিত কর্মকর্তারা ‘ঠিক ঠিক’ বলে হাততালি দেন।
সাবেক এই সচিব বলেন, ‘কষ্ট লাগে একজন উপদেষ্টার এপিএসের অ্যাকাউন্টে ২০০ কোটি টাকা পাওয়া গেলেও তার বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হয় না।
তিনি প্রশ্ন করেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতো একটি মন্ত্রণালয় নূরজাহান বেগম চালাতে পারেন? স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের মতো দুটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় একজন অনভিজ্ঞ উপদেষ্টা দিয়ে চালানো ঠিক হচ্ছে?’
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত এক বছরে দুর্নীতি না কমে বরং অতীতের চেয়ে বেড়েছে বলে মন্তব্য করেন আব্দুস সাত্তার।
তিনি বলেন, ‘এক সহকারী কমিশনার (ভূমি) একটি স্কুলের জমির নামজারিতে ৩০ লাখ টাকা চেয়েছেন। ঢাকার আশপাশের একজন ইউএনও একটি কারখানার লে আউট পাস করতে ২০ লাখ টাকা চেয়েছেন।’
এদিকে এই অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আব্দুর রশীদ। তবে প্রত্যাখানেই সব প্রত্যাখান হয় না।