ঢাকা: বাংলাদেশে কোনো আশার আলো আর নেই ৫ আগস্টের পর থেকে। শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতির পর ইউনূস বসেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধান হিসেবে।
এবং বসে যে সব বিধ্বংসী কাণ্ড ঘটিয়ে চলেছেন, তাতে বাংলাদেশটা একদম ধ্বংসের মুখে।
৫ই আগস্টের পর থেকে, একের পর এক ধর্ষণ নারী নির্যাতন, মব সৃষ্টি, হত্যা, হামলা, ছিনতাই ডাকাতি, প্রকাশ্যে চাঁদা দাবি, মেয়েদের উঠিয়ে নিয়ে যাওয়া, জায়গা,জমি দখল সহ সমস্ত কিছু প্রকাশ্যে সরকারের নাকের ডগায় ঘটছে অথচ সরকারের ঘুম ভাঙ্গার নাম নেই।
প্রয়োজনীয় কোনো ব্যাবস্থা নেই, বিচার ব্যবস্থা নেই।
বরং ইউনূসের উদ্যোগে সব হচ্ছে। জঙ্গীদের বসিয়ে খাওয়াচ্ছেন নিজেও খাচ্ছেন। এখানে আর ভালো থাকার উপায় কী?
১৫/২০ খুনের মামলার আসামি সরাসরি খারিজ,৫ আগস্টের পর ১০০০ এর উপরে নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে কোনো পদক্ষেপ নাই।
৫ আগস্টের পর রাজাকাররা বুক ফুলিয়ে নিজেদের প্রমাণ করছে। এই দেশদ্রোহীদের বুকে টেনে নিচ্ছেন ইউনূস। আর যারা মুক্তিযোদ্ধা তাদের গলায় ঝুলছে জুতার মালা!
জুলাই অভ্যুত্থানের এক বছরের মাথায় দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির যে হিসাব, তাতে আশা বলতে কিচ্ছু নেই।
দেশ যেখানে বিক্রি, সেখানে আশার কী?
ভারত বাংলাদেশকে পরম মমতার দেশ হিসেবেই দেখতো। ভারত না থাকলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না। বিপদে আপদে সবসময় প্রতিবেশী দেশের পাশে ভারত।
অথচ বাংলাদেশে ভারত বিদ্বেষীর অভাব নেই। ৫ আগস্টের পর পৃথিবী দেখল বাংলাদেশ ভারতকে যে পরিমাণ ঘৃণা করে সে পরিমাণ ঘৃণা পৃথিবীর আর কোনও দেশ অন্য দেশকে করে না।
এটা কী বাংলাদেশের জন্য এখন খুব ভালো হচ্ছে? সবদিকেই ডুবেছে বাংলাদেশ।
পাকিস্তানি দৃষ্টি ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে বাঙালির মাথায়। মৌলবাদী গোষ্ঠী মানুষের মাথায় ঢোকিয়ে দিয়েছে, হিন্দুদের ঘৃণা করতে হবে।
তবে দশ মাসে ইউনুস প্রমাণ করতে পারেননি যে শেখ হাসিনা কী করে ভারতের কাছে বাংলাদেশ বিক্রি করল।
৫ আগস্টের পর বিশ্ব দেখল বাংলাদেশে বর্তমান পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক জঙ্গি রয়েছে এবং তারা রাষ্ট্র দখল করেছে।
এই দেশে আর আশার কী থাকে। ধীরে ধীরে অন্ধকারে ডুবছে দেশ।
এখন প্রবাসে যাওয়ার পথও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। কারণ যে দেশে এত জঙ্গি আছে সেই দেশকে কোনো দেশ ভিসা দেবে না।
ইউনুস কতভাবে বাংলাদেশকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছেন তা বাংলাদেশের মানুষ ঠিকভাবে এখনও অনুধাবন করতে পারেনি।