ঢাকা: বর্তমানে বিএনপি বড় দল হলেও বিতর্কে জর্জরিত। ক্ষমতায় আসার আগেই এই দলের এহেন অবস্থা।
আশেপাশের দলগুলো আসলে তলে তলে সব এক জোট হচ্ছে আর বিএনপিকে লোক দেখানোর জন্য বিভিন্ন প্রোগ্রামে ডাকা হচ্ছে।
ঐকমত্য কমিশন নিয়েও এবার বিরক্ত সালাহউদ্দিন আহমেদ।
সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধানের নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিষয়ে নিজেদের আপত্তি তুলে ধরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সব প্রস্তাবে শতভাগ একমত হতে বললে আলোচনার জন্য ডাকার কোনো মানেই নেই।
তিনি বলেন, এখন যদি আমাদের বাধ্য করা হয় যে এসব বিষয়ে একমত হতেই হবে, সেটাতো মানা সম্ভব না।
সোমবার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় দফার বিংশতম বৈঠক শেষে বিফ্রিংয়ে কথাগুলো বলেন তিনি।
এদিন প্রচণ্ড বাকবিতণ্ডা মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেনি সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারপ্রধানের নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিষয়ে।
এতে করে সংসদে নারী প্রতিনিধিত্ব নিয়ে আলোচনার কথা থাকলেও সেটা আর সম্ভব হয়নি।
জোর করে একমত হবার বিষয়টিতে সালাহউদ্দিন আহমেদ একমত নন।
তিনি বলেন, জনগণের প্রত্যাশা পূরণে নির্বাহী বিভাগকে শক্তিশালী হতে হবে, দুর্বল নয়।
জাতীয় ঐকমত্য পোষণ হলে যেসব বিষয়ে দলগুলো একমত হবে, সেই বিষয়গুলো এক করে জুলাই সনদ বা জাতীয় সনদে সই হওয়ার কথা।
এখন যদি আমাদের বাধ্য করা হয় যে এসব বিষয়ে একমত হতেই হবে, সেটাতো মানা সম্ভব না।
নির্বাচন কমিশন গঠনে একটি স্বাধীন সার্চ কমিটি গঠন করা হোক, যেখানে সরকারি দল, বিরোধী দল ও বিচার বিভাগের প্রতিনিধি থাকবে, সেটিও গ্রহণযোগ্য হয়েছে।
এছাড়া তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হলে পরবর্তী সময়ে সংসদ কোনো সংশোধনী আনলে, তা রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের আগে গণভোটে যেতে হবে।
এটি গৃহীত হওয়া মানে, দেশের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য একটি বড় পদক্ষেপ।