ঢাকা: নিউইয়র্কে ডিম মজুদের সংবাদে আতঙ্কিত হয়ে দেশ থেকে বিএনপি জামাতকে প্রটোকল হিসেবে নিচ্ছেন ইউনূস। আর নিউইয়র্ক পুলিশে অতিরিক্ত নিরাপত্তার জন্য আবেদন করা হয়েছে।

ইউনূসের সামনে অগ্নিপরীক্ষা। ২২ সেপ্টেম্বর তাঁর পরীক্ষা।

মূলত এই মানুষটি শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেলেও নিজ দেশকে এক বছরে যতটুকু পেরেছেন অস্থির করেছেন। এই ব্যক্তি শান্তিতে নোবেল কীভাবে পেলেন তাই বিরাট সন্দেহের।

দেশ, বিদেশে বাঙালির কাছে বিতর্কিত ড. মুহাম্মদ ইউনূস নিউইয়র্কে প্রবাসী বাঙালিদের তীব্র ক্ষোভ ও রোষের মুখে পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন।

২২ তারিখ তাঁর এই সফরকে ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন রাজ্যসহ পৃথিবীর নানা দেশ থেকে বাঙালিরা নিউইয়র্কে সমবেত হচ্ছেন।

তাঁদের একটাই উদ্দেশ্য— দেশের বিরুদ্ধে চক্রান্তকারী এবং শ্রমিকের অধিকার হরণকারী হিসেবে পরিচিত এই ব্যক্তিকে বিশ্ববাসীর সামনে ধিক্কার জানানো। ইউনূস যেটার যোগ্য সেটাই দেবেন তাঁরা।

উল্লেখযোগ্য যে, ড. ইউনূসের আগমনের খবর পেয়েই নিউইয়র্কের প্রবাসী আওয়ামী লীগ, যুবলীগসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মী, সাধারণ বাঙালিরা সামাজিক মাধ্যমে প্রতিবাদের ডাক দিয়েছেন।

বাঙালি এই সুদখোরকে প্রতিরোধের জন্যে প্রস্তুত। স্লোগান লেখা প্ল্যাকার্ড হাতে তার সম্ভাব্য অবস্থানস্থলের সামনে বিক্ষোভের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

আর এই পরিবেশ ইউনূস নিজেই তৈরি করেছেন। একটি লজ্জাজনক ব্যর্থতা তাঁর। কত ঠেকাবেন?

দেশে আওয়ামী লীগ ধরে দিলে ৫ হাজার পুরস্কার ঘোষণা, আওয়ামী লীগকে বাড়ি ভাড়া না দেবার ঘোষণা– এইভাবে কয়দিন? আওয়ামী লীগের কথা ছেড়ে দিলেও সাধারণ জনগণ যারা কোনো দল করে না, তাঁরা তো আরো বেশি ক্ষিপ্ত! সাধারণ মানুষের অবস্থাই সবচেয়ে বেগতিক! তিনি যাবেন কোথায়?

সব মিলিয়ে, আগামী ২১ সেপ্টেম্বর রাতে ড. ইউনূসের নিউইয়র্ক যাত্রা শুধু একটি কূটনৈতিক সফরই থাকছে না, বরং লন্ডনের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এটি অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য একটি বড় ধরনের রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা পরীক্ষাও বটে।

ফলে সাথে নিচ্ছেন বডিগার্ড। সফরসঙ্গী হিসেবে দেশের চার শীর্ষ রাজনীতিবিদকে নিয়ে যাচ্ছেন, যাদেরকে তাঁর ‘রাজনৈতিক বডিগার্ড’ বা ‘রাজনৈতিক রক্ষাকবচ’ হিসেবেই দেখা হচ্ছে।

২৬ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে জাতিসংঘের অধিবেশনে যোগ দিতে যাচ্ছেন ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুস।

আর এই বিক্ষোভ ঠেকানোর কোনো উপায় নেই বলে দিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।

উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের কথায় আবার তাঁর চাকরি নট হবে না তো? এত সত্য কথা স্বীকার করতে নেই, ইউনূস সহ্য করবেন?

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এম তৌহিদ হোসেন বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টার নিউইয়র্ক সফরকে কেন্দ্র করে যে কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ঠেকাতে সেখানে পুলিশ প্রস্তুত থাকবে।

তবে সেখানে বিক্ষোভ ঠেকানোর উপায় নেই।

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই কথা বলেন।

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে যোগদান উপলক্ষে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সম্প্রতি বিদেশে উপদেষ্টাদের প্রতি বিক্ষোভ প্রদর্শনের মতো ঘটনা জাতিসংঘের সামনে হলে করণীয় কী জানতে চাওয়া হয় উপ‌দেষ্টার কা‌ছে।

জবা‌বে তৌ‌হিদ হো‌সেন ব‌লেন, সম্প্রতি লন্ডনে যে ঘটনা ঘটেছে, সেটার বিষয়ে কিন্তু ব্যবস্থা নেওয়া ছিল এবং খবর যা এসেছে, সবকিছু কিন্তু পুরোপুরি সত্য না। যেমন- যে গাড়িটা আক্রান্ত হয়েছে, সেই গাড়িতে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ছিলেন না।

তিনি অন্য একটা গাড়িতে ছিলেন।
তিনি বলেন, এখানে আমাদের বুঝতে হবে, পশ্চিমের দেশগুলোতে বাধা দেওয়া, স্লোগান দেওয়া, রাস্তায় মিছিল করা, প্রতিবাদ করার রাস্তা আটকানোর কোনও উপায় আমাদের কেন, কারো নেই। সেসব দেশের সরকার এটা করতে দিতে বাধ্য। শুধু ডেলিগেশন দলের নিরাপত্তা যেন সঠিক থাকে।

আমি আসলে তেমন আশঙ্কা করছি না।
তৌ‌হিদ হো‌সেন ব‌লেন, কারণ নিউইয়র্ক পুলিশ এনওয়াইপিডি এই ব্যাপারে বিস্তর অভিজ্ঞ। আপনারা যারা গেছেন, তারা দেখে থাকবেন, মোটামুটি তিন হাত দূরে একটা করে গাড়ি থাকে। আমি আশা করছি, কোনও অপ্রীতিকর কিছু হবে না।

তি‌নি ব‌লেন, বিক্ষোভ হবে, এটা কিন্তু আমি ধরে নিচ্ছি। কারণ এটা ঠেকানোর উপায় আমাদেরও নেই, তাদেরও নেই।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *