ঢাকা: এই সরকার তালিবানি শাসন আনতে আর কয় পা বাকি রেখেছে দেশে?

মুহাম্মদ ইউনুস জাতিসংঘে একটা সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠানে নিজেই বলেছেন, তাঁকে নাকি অনেকেই তালেবান শাসক বলে।

কওমী ধারার ফজলুল ও মামুনুল সাহেবরা তো সরাসরি ঘোষণাই দিয়েছেন তারা সরকারে আসলে শরিয়া ভিত্তিক তালেবানী ধারার শাসন কায়েম করবে।

তবে সেই অনুষ্ঠানেই সাবেক শিবির এনসিপি’র আখতার হোসেনের বিদেশি মহিলার সাথে হ্যান্ডশেক না করা মুহাম্মদ ইউনুস যে তালেবান শাসক না, এই দাবীকে কিছুটা প্রশ্নের মধ্যে ফেলে।

অর্থাৎ দেশটা তালিবানি হয়েই গেছে। আসলে তালিবানি ছাড়া এদের আর কি বলা যাবে?

আমেরিকা গিয়ে ড. ইউনূস স্টেইজে উঠে মজাক করে বলে, সবাই বলে বঙ্গদেশ নাকি ইসলামী জঙ্গি হইছে, আমি নাকি হইছি তালিবান। দাড়ি বাসায় রাইখা আসছি, হাহা। দর্শক মজা পায় এই হাস্যরসে।

দাড়ি বাসায় রেখে আসলেও এনসিপির আখতারকে সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন। সেটাই তো মহা সম্পদ। যে কাজটা করে দেখালেন।

ভারতের সমালোচনায় তালেবানের সংজ্ঞা পাল্টে ফেললেন ইউনূস ! তাও আবার আখতারের সামনেই? অদ্ভুত!

এখন তো তালিবানি কায়দায় চলাদের ইউনূসের বিরুদ্ধে মিছিল করার কথা!? নাহ, তারা করবে না! এই কথা শেখ হাসিনা বললে দুই সেকেণ্ড লাগতো না মিছিল নামতে!

অধ্যাপক ইউনূসের বিদেশ সফর মানেই নতুন কোনো বিতর্ক। গত বছর তার সেই মাস্টারমাইন্ডকে পরিচয় করিয়ে দেশব্যাপী বেশ সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন।

ইউনূস বলেন,’ভারতের সঙ্গে আমাদের সমস্যা চলছে। কারণ, ছাত্ররা যেটা করেছে, সেটা তারা পছন্দ করেনি।’

বাংলাদেশে ইসলামপন্থীদের আন্দোলন হয়েছে বলে অপপ্রচার করা হয়েছে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তারা বলেছে, এরা তালেবান এবং এদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

‘তারা এমনটাও বলেছে, আমিও একজন তালেবান। আমার দাড়ি নেই, মাত্রই তা বাড়িতে রেখে এসেছি,’ রসিকতার সুরে ব‌লেন তিনি।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *