ঢাকা: কথায় আছে না, সুঁই কয় চালনিরে, চালনি কয় সুঁইরে। সেই অবস্থা হয়েছে বিএনপি জামায়াতের।
বিএনপি স্বাধীনতাবিরোধীদের মুখপাত্র। তারা আজ রাজনৈতিক স্বার্থে এমন এক অবস্থানে দাঁড়িয়েছে, যা ১৯৭১-এর জামায়াতকেও লজ্জা দেবে।
আজ বিএনপি জামায়াতের মতোই। তারা আর কাকে দোষ দেবে?
মুক্তিযুদ্ধকে অস্বীকার করছে, স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রকে প্রতিস্থাপন করছে, এবং দেশে একটি ছায়াশাসন প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনায় সরাসরি যুক্ত হয়েছে।
আর জামায়াতের কথা তো বলেই লাভ নেই। জামায়াত—যারা ৫২, ৭১ ও ২০২৫—তিন যুগেই বিশ্বাসঘাতক। যতদিন থাকবে বিশ্বাসঘাতক হয়েই থাকবে।
জামায়াত একাত্তরে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিল। তারা মুক্তিযুদ্ধবিরোধী, গণহত্যাকারী, ধর্ষণের হুকুমদাতা।
আজ তারা সরাসরি মাঠে না থাকলেও, তাদের আদর্শিক উত্তরাধিকারীরা জুলাই ঘোষণাপত্রে সক্রিয় ভাবে জড়িত। শুধু তাই না, পর্দার আড়ালে এরাই সরকার চালাচ্ছে।
এখন জামায়াত নিয়ে মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ কী বললেন শুনি?
মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতাকারী জামায়াতে ইসলামী নতুন নতুন মত নিয়ে হাজির হয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ।
তিনি বলেন, ‘এ জামায়াতে ইসলামী বলেছে- জাতীয় ঘোষণাপত্রে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠাকে অত্যন্ত গৌরবের সঙ্গে উপস্থাপন করা হয়নি। তারা ভেবেছে যে বাংলাদেশের মানুষের স্মরণশক্তি খুবই দুর্বল।
তারা ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল। এখন তারা নতুন নতুন মত নিয়ে হাজির হয়।’
শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি কথাগুলো বলেন।
জুলাই ২৪ গণঅভ্যুত্থানের ‘বর্ষপূর্তিতে দ্রুত বিচার সম্পন্ন, মৌলিক সংস্কার ও জাতীয় সংসদ নির্বাচন’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে অগ্নিসেনা সোশ্যাল ফাউন্ডেশন ও আমাদের নতুন বাংলাদেশ।
মেজর হাফিজ বলেন, নির্বাচন বিলম্বিত হয় কিংবা নির্বাচন যাতে না হয়, এমন পরিবেশ সৃষ্টি করা কাম্য নয়। তবে বিচারের ভার জনগণের কাছে।
গণতন্ত্রে প্রত্যেকে নিজেদের বক্তব্য দেওয়ার অধিকার আছে। আগামী সংসদ নির্বাচনে যারা ক্ষমতায় আসবে, তারাই সংস্কার নিয়ে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ এত দিন ভোট দিতে পারেনি। কিন্তু কিছু দল ধরে নিয়েছে, নির্বাচন হলে তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হবে, তারা নির্বাচনকে বিলম্বিত করতে পিআর সিস্টেমের কথা বলে।
আমি মনে করি, আগামী নির্বাচন বিদ্যমান পদ্ধতিতে আয়োজন করা উচিত, যাতে মানুষ পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারে।’