ঢাকা: যারা শারীরিকভাবে সুস্থ, তারাই হজযাত্রা করবেন। ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, কেবল শারীরিকভাবে সুস্থ ব্যক্তিদেরই হজের জন্য নিবন্ধন করাতে হবে। শারীরিক সক্ষমতা না থাকলে কাউকে হজে নেওয়া যাবে না।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে হজ ও ওমরাহ ফেয়ার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি হজ বিষয়ে কথাগুলো বলেন।
হজে যারা যেতে চান সেই ব্যক্তিদের সঙ্গে হজ এজেন্সির যোগসূত্র তৈরির জন্য এই হজ ও ওমরাহ মেলার আয়োজন করেছে হজ এজেন্সিগুলোর সংগঠন হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, অসুস্থ ও শারীরিক সক্ষমতা নেই, এমন ব্যক্তিদের হজে নেওয়া হলে সরকারকে বিব্রত হতে হয়, নানারূপ বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়।
এজন্য শারীরিকভাবে অক্ষম ও দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের হজের জন্য ফিটনেস সার্টিফিকেট না দেওয়ার জন্য সিভিল সার্জনদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, অনুমতি ছাড়া হজ করতে আসায় প্রায় ২ লাখ ৭০ হাজার হজযাত্রীকে মক্কায় প্রবেশ করতে দেয়নি সৌদি কর্তৃপক্ষ।
সৌদি সরকারের হজ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত বছর হজ মৌসুমে তীব্র তাপদাহে অনেক হাজীর অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু হওয়ায় এ বছর ‘অবৈধ’ হজযাত্রীদের মক্কায় প্রবেশে বাধা দেওয়া হচ্ছে।
হজের অনুমতি না থাকায় ২ লাখ ৬৯ হাজার ৬৭৮ জন হজযাত্রীকে মক্কা থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
হজ ধর্মীয় পবিত্রতা বজায় রাখার জিনিস বা মানুষ শুদ্ধ হবে এইজন্য যাওয়া।
এইখানে গিয়েও যেমন অবৈধতার সাথে জড়িয়ে পড়ে মুসলমানরা, তা ভীষণ লজ্জাজনক!
হজ এজেন্সির উদ্দেশ্যে ড. খালিদ বলেন, অনেক এজেন্সি হজযাত্রীদের ব্যাগে মাদকদ্রব্যসহ সৌদি আরবের অননুমোদিত দ্রব্যাদি নিয়ে যায়।
অনেকে দেশে ফেরার সময় হাজিদের মাধ্যমে অবৈধভাবে সোনা নিয়ে আসেন। এতে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়। তিনি এ জাতীয় কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য হজ এজেন্সিগুলোকে অনুরোধ জানান।
আর শুধু তো ভাবমূর্তি নয়, নিজেদের ছ্যাঁচড়ামি এভাবে প্রকাশ করে তারা কি জান্নাতের সুখ পাবে?