ঢাকা: এত ধর্ম রক্ষার ধুয়ো তুলেও তো ধর্ম রক্ষা করতে পারে না এরা। মাদ্রাসায় প্রতিদিন ধর্ষণ হচ্ছে, বাচ্চা শিশুগুলো নির্যাতনের শিকার ধর্মের নামে, ধর্মের মোড়কে, কিন্তু তখন কোনো প্রতিবাদ শোনা যায় না।
অথচ প্রাথমিকে ধর্মীয় শিক্ষক বাধ্যতামূলক করার হুমকি দেয়া হচ্ছে।
মাদ্রাসায় ধর্মীয় শিক্ষক হাজার হাজার, এরা এখন প্রাইমারিতেও ধর্মীয় শিক্ষক দাবি করছে।
এরপর বলবে ধর্মীয় শিক্ষক হাইস্কুলে চাই, কলেজে চাই, বিশ্ববিদ্যালয়ে চাই।
প্রাইমারিতে ধর্মীয় শিক্ষক কেন দরকার? দেশটা তালিবানি শাসনের আদলে চলে যাচ্ছে।
এরা গান পছন্দ করে না। আনন্দ বাদ, ধর্ম চাই। জঙ্গীবাদ চাই। এরা মনে করে, গান বাজনা জানলে সে ডাকাত হয়, খুনী হয়।
তা এখন যারা খুন করছে, তারা কী গায়ক? জামায়াতে ইসলামী গায়ক? বাজনদার?
প্রাথমিক শিক্ষায় গানের শিক্ষক নিয়োগ বাতিল ও ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ বাধ্যতামূলকের দাবি জানিয়েছে সর্বদলীয় ইসলামী শিক্ষা রক্ষা জাতীয় কমিটি।
বক্তব্যে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর মুজিবুর রহমান বলেন, আমাদের সমাজে দুর্নীতি, অন্যায়, অবিচার, মাদক, নৈতিক অবক্ষয় দিন দিন বেড়েই চলছে।
এর প্রধান কারণ হলো ধর্মীয় শিক্ষার ঘাটতি। যদি প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একজন ধর্মীয় শিক্ষক থাকতেন, যিনি শিক্ষার্থীদের ঈমান, আকীদা ও নৈতিকতা শিক্ষা দিতেন, তবে তারা সৎ, আল্লাহভীরু ও চরিত্রবান মানুষ হতো।
তিনি বলেন, গানের শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে সরকার কি করতে চায়? তারা কি বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের পথ ধরে আবার ভবিষ্যৎ নাগরিকদের চোর ডাকাত খুনি বানাতে চায়?
মুজিবুর রহমান বলেন, ছাত্ররা ধার্মিক হয়ে গড়ে উঠলে তাদের হৃদয়ে তাকওয়া ও নৈতিকতা প্রতিষ্ঠিত হয়। এরপর অন্যান্য শিক্ষক তাদের বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, সাহিত্য ও কলা শেখাবেন।
ইঞ্জিনিয়ার ও ডাক্তার গড়ে তুলতে পারবেন। সৎ ও যোগ্য আইনজীবী, সাংবাদিক ও সুনাগরিক গড়ে তুলতে পারবেন। এভাবেই একটি প্রকৃত শিক্ষিত, নৈতিক ও আদর্শবান জাতি গড়ে তোলা সম্ভব।