ঢাকা: সাধারণ মানুষ আওয়ামী লীগের প্রত্যাবর্তনের জন্য মুখিয়ে আছে। দেশের গতি খারাপ থেকে খারাপের দিকে যাচ্ছে।
জনগণের বিশ্বাস দেশকে আওয়ামী লীগ ছাড়া আর কেউ বাঁচাতে পারবে না।
৫ হাজার টাকা ঘুষ, আওয়ামী লীগের কাউকে বাড়ি ভাড়া দিলে বাড়িওয়ালাকে গ্রেপ্তারের হুমকি, ভুয়া মামলায় গ্রেপ্তারি এগুলো চলছেই। তবুও দাবিয়ে রাখতে পারছেন না ইউনূস।
প্রতিদিন মিছিল বের হচ্ছে। কোর্টেও উঠছে জয় বাংলা স্লোগান। কত ঠেকাবেন? সত্যকে কি চাপা দিয়ে রাখা যায়?
রাস্তায় ঝটিকা মিছিল থেকে যখনই ‘জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু ‘ ধ্বনি শুনতে পায় তখনই বাসাবাড়ি বা ফ্ল্যাট বাড়িতে থাকা সদস্যরা, বিভিন্ন অফিসের চাকুরীজীবিরা দৌড়ে জানালার পাশে চলে আসে মিছিল দেখার জন্য এবং বিড়বিড় করে ‘জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু’ বলতে থাকে।
মিছিলে ‘জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু ‘ শব্দ শুনে বাড়ির ভিতর থাকা মানুষজন আনন্দে অস্থিরভাবে পায়চারি করতে থাকে এবং চাপা স্বরে ‘জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু’ করতে থাকে।
পথচারিরা থমকে দাঁড়িয়ে যান এবং ‘জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু’ শব্দের মিছিল দেখে মোবাইলের ক্যামেরা চালু করে ভিডিও করা শুরু করেন। এবং অবচেতনে মুখ দিয়ে বেরিয়ে আসে ‘জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু’।
এবার তো রাগে, ক্ষোভে তিন পুলিশ কর্মকর্তাকে ক্লোজ করে দেয়া হলো। তাঁরা নাকি দায়িত্বে অবহেলা করেছেন এই অভিযোগে। মূলত ইউনূসের কথা শুনে না চললেই চাকরি ছাড়তে হবে। এর অন্যথা নেই।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগের মোহাম্মদপুর জোনের তিন পুলিশ কর্মকর্তাকে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে ক্লোজ করা হয়েছে।
শুক্রবার জুমার নামাজের পর আওয়ামী লীগের মিছিল ঠেকাতে পুলিশ প্রস্তুতি না থাকায় তাৎক্ষণিক এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ক্লোজ হওয়া কর্মকর্তারা হলেন:
এ কে এম মেহেদী হাসান – সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি), মোহাম্মদপুর জোন,আব্দুল আলীম – পরিদর্শক (অপারেশন),মাসুদুর রহমান – উপ-পরিদর্শক (ডিউটি অফিসার)।
ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলীর স্বাক্ষরিত এক আদেশে এদের মধ্যে এসি মেহেদী হাসানকে ডিএমপি সদর দপ্তরে সংযুক্ত করা হয়েছে।
মাঠপর্যায়ে এই ঘটনায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা আচমকা ক্লোজ হওয়ায় স্থানীয় থানা ও জোনে এক ধরনের অস্থিরতা বিরাজ করছে।