ঢাকা: সংস্কার করবেন গোটা দেশ! আশ্বাস, ভরসা দিয়ে গদগদ হয়ে মুহাম্মদ ইউনূস গদিতে বসার পর ট্রেন চলছে টর্চ দিয়ে।
দেশ যেমন চলছে স্থায়ী সরকার ছাড়া, ঠিক তেমনি ট্রেন চললো স্থায়ী হেডলাইট ছাড়া। আপদকালীন অবস্থা বাংলাদেশের সব জায়গায়!
৮ কিমি পথ! মোবাইল টর্চে ট্রেন চালালেন চালক! ভাবা যায়?
এটা কোনো সিনেমা না।এটা কোনো থ্রিলার গল্পও না। বাস্তবের ঘটনা।
এটা বাংলাদেশের তিতাস কমিউটার ট্রেনের বাস্তব কাহিনি।
২১ জুন রাতে, ঢাকা থেকে আখাউড়া যাওয়ার পথে তালশহর স্টেশন পার হওয়ার পর হঠাৎ ট্রেনের ইঞ্জিনে সমস্যা দেখা দেয়। ভয়াবহ বিষয় হলো, ট্রেনের হেডলাইট সম্পূর্ণ অচল হয়ে যায়!
ঘুটঘুটে অন্ধকার চারদিকে। চালকের সামনে কিছুই দেখা যাচ্ছে না।
রাতের ট্রেন লাইনে হেডলাইট ছাড়া চালানো আইনগতভাবে ঝুঁকিপূর্ণ, এমনকি প্রাণঘাতীও।
কী করা যায়?
ঐ যে আপদকালীন অবস্থায় যা করা উচিৎ!
ট্রেনটির লোকোমোটিভে (ইঞ্জিন) সমস্যা দেখা দিলে ধীর গতিতে চলতে শুরু করে। আবার কখনও থেমে যায় এভাবে।
লোকোমোটিভের হেডলাইট নষ্ট হলে ট্রেনে কর্মরত সংশ্লিষ্টরা মোবাইল ফোনের টর্চ লাইটের আলো জ্বালিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশন পর্যন্ত নিয়ে যান।
প্রায় আট কিলোমিটার পথ আসতে এক ঘণ্টার মতো সময় লাগে ট্রেনটির।
পরে আখাউড়া থেকে আরেকটি ইঞ্জিন এসে ট্রেনটিকে নিয়ে যায়।
যাত্রীরা ভয়ে আতঙ্কে শেষ। যাত্রীদের চোখে অজানা শঙ্কা।
এই ঘটনায় রেল কর্তৃপক্ষ দায় নেবে তো? মুহাম্মদ ইউনূস কিছু করবেন তো?
এটি শুধু একটা ট্রেন নয়, পুরো একটি দেশের অব্যবস্থাপনার প্রতিচ্ছবি। ইউনূস কিছু বলবেন না। তিনি আরো বছরগুলো কীভাবে ক্ষমতা ধরে রাখা যায় সে চিন্তা করছেন।