ঢাকা: আজ সারা বিশ্বে পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দিনটি উদযাপিত হচ্ছে জাতীয় ও জেলা পর্যায়ে নানা কর্মসূচির মাধ্যমে।
ইউনেসকোর উদ্যোগে ১৯৬৫ সালে প্রবর্তিত এই দিবসটি বিশ্বে প্রথম উদযাপিত হয় ১৯৬৬ সালে। স্বাধীন বাংলাদেশে দিবসটি প্রথম পালিত হয় ১৯৭২ সালে।
তবে বাংলাদেশে এখনো শিক্ষিতের অভাব। কাগজে-কলমে দেশে বর্তমানে সাক্ষরতার হার ৭৮ শতাংশ। কিন্তু কাগজে কলমে তো অনেক কিছুই দেখানো হয়। বাস্তবতার সাথে এর কোনো মিল নেই।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দারের ভাষ্য মতে, ‘দেশে প্রকৃত সাক্ষরতার হার ৫০ শতাংশেরও নিচে। নিরক্ষর জাতি দিয়ে আমরা উন্নতি করতে পারবো না।’
নিরক্ষর জাতি নিয়ে দেশের উন্নতি কোনোভাবেই সম্ভব নয়। তাছাড়া যারা শিক্ষিত, তাদেরও মানসিক চিন্তা একবারেই দেখা যাচ্ছে নিরক্ষরের মতো!
আর সাক্ষরতার সংজ্ঞা মানে এখন আর শুধু সই করতে পারা নয়। সাক্ষরতা অর্জনের জন্য এখন দরকার যোগ-বিয়োগসহ সাধারণ ও প্রযুক্তিগত কিছু জ্ঞান।
বিজ্ঞান-প্রযুক্তির উৎকর্ষতার যুগে সাক্ষরতার হার নিয়ে এমন ‘দুরবস্থা’র মধ্যেই আজ সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস।
বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টার (পিপিআরসি)–এর তথ্যমতে, গত তিন বছরে দেশে দারিদ্র্য বেড়েছে।
২০২২ সালে সরকারি হিসাবে এই হার ছিল ১৮.৭ শতাংশ, যা ২০২৫ সালের মে মাসে এসে দাঁড়িয়েছে প্রায় ২৮ শতাংশ-এ। একই সঙ্গে ৯.৩৫ শতাংশ জনগণ রয়েছে চরম দারিদ্র্যের মধ্যে।
দারিদ্র্যপীড়িত পরিবারগুলোতে সন্তানদের পরিবারে কাজে লাগানো হয়, স্কুলে পাঠানো হয় না, ফলে শিক্ষার সুযোগ হারাচ্ছে লাখ লাখ শিশু। তাছাড়া আরো বহু কারণ আছে যার জন্যে বাংলাদেশে সাক্ষরতার হার নেই।