ঢাকা: দেখতে দেখতে শুরু হয়ে গেল পুজো।

আজ মহাষষ্ঠী। আজ দেবীর সপরিবারে আসার দিন, পুরাণ মতে জানা যায় দেবী বড্ড অভিমানি, ঘরের মেয়ের মতই যতক্ষণ না তাঁকে সাদরে বরণ করে ঘরে তোলা হয় ততক্ষণ তিনি বেল গাছের তলায় অধিষ্ঠান করেন এজন্য একটি বেল গাছও আজকের ঘট পূজায় থাকে।

এই দিনটির জন্য অপেক্ষা করে থাকে আপামর বাঙালি। বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব সবাইকে নিয়ে আনন্দ করার পাশাপাশি একে অপরকে শুভেচ্ছা জানানোও একটা দায়িত্ব।

তবে বাংলাদেশের সনাতনীদের দুঃখের শেষ নেই। পুজোর মধ্যেও চলছে প্রতিমা ভাঙচুর। এই বেদনা কোথায় রাখবে হিন্দুরা?

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় আয়োজন- ‘শারদীয় দুর্গোৎসব’। হিন্দু শাস্ত্রমতে দুষ্টের বিনাশ ও সৃষ্টের পালন করতে বছর ঘুরে আবারো দুর্গতিনাশিনী দশভুজা ‘মা দুর্গা’ এসেছেন ধরায়।

আজ ঢাক, কাঁসর, ঘণ্টা, শঙ্খ, উলু ধ্বনির মাধ্যমে বেল গাছের নিচে পূজার মধ্য দিয়ে শুরু হবে দুর্গোৎসবের মূল আনুষ্ঠানিকতা। আজই হবে কল্পারম্ভ ও ষষ্ঠীবিহিত পূজা। অধিবাসনের মাধ্যমে আমন্ত্রণ জানানো হবে দেবীকে।

কচিকাঁচারা সবচেয়ে বেশি আনন্দিত। পুজো মানেই বাচ্চাদের খুশি।

ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে প্রতিবারের মতো এবারো প্রস্তুত করা হয়েছে মহামায়া দেবী দুর্গাসহ লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিক, গণেশসহ বিভিন্ন দেব-দেবীর প্রতিমা। ভক্তরা আসছেন প্রতিমা দর্শনে।

ত্রিশূল, চক্র, ঢাল-তলোয়ারসহ কত অস্ত্রে সজ্জিত করা হয়েছে দশভুজা দেবী দুর্গাকে।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *