ঢাকা: দেখা গেছে, রাজধানীর কমলাপুর রেল স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে পঞ্চগড়গামী একতা এক্সপ্রেস ট্রেন দাঁড়াতে না দাঁড়াতে হুড়মুড়িয়ে যাত্রীরা উঠে পড়ছেন।
ছাদেও উঠে পড়ছে যাত্রী। কোনোদিকে হুঁশ নেই। শুক্রবার এমন চিত্র দেখা গেল কমলাপুরে এমনকি আগাম টিকেট না পাওয়া যাত্রীরা ট্রেনের ভেতরে দাঁড়িয়ে ও ছাদে চলে যাচ্ছেন।
কাল পবিত্র ঈদুল আযাহা ঢাকা ছাড়ছেন মানুষ। সকাল থেকেই কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ঘরে ফেরা মানুষের ভিড়।
টিকিট না পেয়ে অনেকে ঝুঁকি নিয়ে ট্রেনের ছাদে বাড়ি ফিরছেন। অথচ এমন যাত্রা জীবনের ঝুঁকি!
ঈদ মানেই খুশি, কিন্তু যাত্রা মানেই কষ্ট!
কোরবানির ঈদে বাড়ি ফিরতে চান সকলেই। কিন্তু যাত্রাপথ খুব কম সুগম হয়।
ট্রেনে সিট নেই, অক্লান্তভাবে যাত্রী চলেছে লক্ষ্যে। ভিড়, গরম, ক্লান্তি —৮-১০ ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে কঠিন পরীক্ষা দিয়ে তারপর আত্মীয়ের সাথে ঈদ করতে হয়।
পরিকল্পিত ব্যবস্থা করা গেলে ঈদের যাত্রার সময় মানুষের এত ভোগান্তি হতো না।
এখন সময় এসেছে ট্রেনের সংখ্যা দ্বিগুণ বা তিনগুণ বৃদ্ধি করার। প্রতিটি ট্রেনেই উপচে পড়া ভীড়।ট্রেনের ভিতরে,ট্রেনের ছাদে,প্রবেশ দরজার সামনে তিল ধারণের জায়গা নেই।
ঈদের সময় বাংলাদেশের সব লোকাল,আন্তঃনগর,মাইল এক্সপ্রেস ট্রেনগুলো ক্ষমতার থেকে ২ থেকে ৩ গুণ যাত্রী নিয়ে চলাচল করে।
আর এখন ঘরমুখী ঈদ যাত্রার সময়। ঢাকা চট্টগ্রামের মত বড় শহর থেকে মানুষ ময়মনসিংহ রংপুর রাজশাহীর দিকে যাচ্ছে, তাই ঢাকা বিমুখী ট্রেন গুলোতে ব্যাপক ভিড় এখন।