ঢাকা: সাবেক সিইসি নুরুল হুদাকে তৌহিদী জনতা জুতাপেটা করে জুতার মালা পরিয়ে দিয়েছে এর আগে!
তিনি মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। তাঁকে মব করে ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং মববাহিনী পুলিশের সামনে বসে তাকে জুতাপেটা করেছে এবং গলায় জুতার মালাও দিয়েছে।
তখনই বার্তা পৌঁছে গিয়েছে যে বাংলাদেশ আসলে কোথায় দাঁড়িয়েছে গিয়ে।
আগামী দিনের যারা নির্বাচন কমিশনের প্রধান হবেন তাদের জন্য এটা একটি ভয়াবহ বার্তা।
এই সরকার এর চাইতে বেশি আর কী করতে পারে? মুক্তিযুদ্ধের দল আওয়ামী লীগের উপর এদের এত আক্রোশ, যে এরা মুক্তিযোদ্ধাদের গলায় জুতার মালা পর্যন্ত পরাতে পারছে!
এবার সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমেদসহ ১২ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিলো আদালত।
বিচার ব্যবস্থাও তো এই জঙ্গীরা কব্জা করেছে। কারো কোনো কথা বলার ক্ষমতা নেই। কথা বললেই হয়তো চলে যেতে হবে পরপারে।
শেরে বাংলা নগর থানায় বিএনপির করা এক মামলায় তারা পলাতক থাকায় এই আদেশ দেয়া হয়েছে বলা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) মামলার তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মিনহাজুর রহমান এই আদেশ দেন।
নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা অন্যরা হলেন– সাবেক নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ আবু হাফিজ, বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) জাবেদ আলী, শাহ নেওয়াজ, রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম, বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, আহসান হাবিব খান, মো. আলমগীর ও আনিছুর রহমান এবং সাবেক নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, সাবেক নির্বাচন কমিশন সচিব মোহাম্মদ সাদিক।
এই মামলায় গত ২২ জুন এ কে এম নূরুল হুদাকে উত্তরা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
পরে ২৩ জুন চারদিন এবং ২৭ জুন আরও চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত।