ঢাকা: শিল্পী ফরিদা পারভীনের চলে যাওয়াটা বহু ভক্ত মেনে নিতে পারেননি। কান্না করছেন তাঁরা।

বহু মানুষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লালনকন্যার স্মৃতিচারণ করেছেন।

একজন লিখেছেন,

“আম্মার স্মৃতি -চলে গেলেন আম্মার প্রিয় শিল্পী ফরিদাপারভীন।

ওনাকে ঘিরে আম্মার একটা প্রিয় স্মৃতির কথা বলি। কেন যেনো ২৬ আগষ্ট থেকে ২৮ আগষ্ট অফিসের আগে প্রতিদিন সকালে আম্মার বাসায় গিয়ে তাঁর প্রিয় গান শুনানোর জন্য আধঘন্টা সময় বরাদ্দ রেখেছিলাম। প্রথমদিন আম্মা ফরিদা পারভীন বেছে নিলেন।

এরপর তিনদিন আব্দুল হাদী,সুবীর নন্দী আর মান্না দের গান শুনলেন। ৮০ ছুঁই ছুঁই আম্মার ৫০ বছর আগে যখন ৩০ বছরের তখন যশোর ক্যান্টনমেন্টের কোয়াটারের বড় মাঠে সরাসরি ফরিদা পারভীনের গান শুনেছিলেন আব্বা সহ সারা রাত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে। সেই স্মৃতি আম্মা সব সময় মনে করেন আমাদের বলেন।

মানুষ আসলে তারুণ্যের স্মৃতি ভুলতে পারেনা। ফরিদা পারভীন আপনি আমার আম্মার মত অসংখ্য মানুষের হৃদয়ে আজীবন রয়েছেন। এখানেই শিল্পীর জীবন স্বার্থক”।

লালনকন্যা খ্যাত লোকসংগীতের বরেণ্য শিল্পী ও ‘লালনকন্যা’ খ্যাত ফরিদা পারভীনের মরদেহ সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাখা হয়েছে।

তিনি মারা গিয়েছেন শনিবার। আজ রবিবার দুপুর ১২টার দিকে তাঁর মরদেহ সেখানে আনা হয়। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে শিল্পীকে কুষ্টিয়ায় তাঁর মা-বাবার কবরের পাশে দাফন করা হবে।

মৃত্যুকালে ফরিদা পারভীনের বয়স হয়েছিল ৭১ বছর।

তাঁর দীর্ঘ সংগীতজীবনে লালনকে অন্তর দিয়ে ধারণ করেছেন। দর্শন ও বাংলার লোকগানকে ধারণ ও বিশ্বব্যাপী প্রসারে কাজ করেছেন।

নাটোরে তাঁর জন্ম। নজরুলসংগীত ও দেশাত্মবোধক গান গাইলেও তিনি মূলত লালনগীতির শিল্পী হিসেবেই দেশ-বিদেশে খ্যাতি লাভ করেন।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *