ঢাকা: আসিফ নজরুলের মুখের হাসি উড়ে গেছে। প্রায় ৫ ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকার পর উত্তরার মাইলস্টোন কলেজ থেকে পুলিশের পাহারায় বের হওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল ও শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার।

এদিন দুপুর সোয়া ৩টার দিকে বাইরে বের হয়ে সড়কে প্রবল বাধার মুখে পড়ে দুই উপদেষ্টার গাড়িবহর। এরপর তারা আবারও মাইলস্টোন কলেজে ফিরে যান।

উপদেষ্টাদের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করতে থাকেন শিক্ষার্থীরা কলেজের বাইরে।এরা তো আসলে উপদেষ্টা না, জনগণের ভাষায় অপদেষ্টা।

বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান সোমবার দুপুরে বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে দিয়াবাড়ির মাইলস্টোন স্কুল ও কলেজের প্রাথমিক শাখার ভবনে।

ঘটনায় বহু নিহত হয়েছে। সংখ্যা লুকানো হচ্ছে, লাশ গুম চলছে। তবে আনুমানিক সংখ্যাটা ২০০ ছাড়িয়ে গেছে।

সহপাঠিদের হারিয়ে ক্ষুব্ধ মাইলস্টোনের শিক্ষার্থীরা মঙ্গলবার সকাল থেকেই স্কুলের কাছে দিয়াবাড়ি গোলচত্বরে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। ক্ষতিপূরণসহ ছয়টি দাবি তোলে তারা।

এদিকে, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সেখানে গিয়ে ক্ষোভের মুখে পড়েন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল ও শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার।

কিছুক্ষণ পর প্রেস সচিব শফিকুল আলমও গিয়ে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন।তাদের ঘিরে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগান দিতে থাকে।

আইন উপদেষ্টা হয়ে আসিফ নজরুল আইনকেই বুড়ো আঙুল দেখিয়ে চলেছেন।

দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পুলিশি পাহারায় ভবন-৫-এর সামনে হ্যান্ড মাইকে কথা বলেন আসিফ নজরুল।

আসিফ নজরুল আটকা পড়ে বলেন, শিক্ষার্থীদের সব দাবি যৌক্তিক। সরকার প্রতিটি দাবি মেনে নেবে।

যদিও এই ভুয়া আশ্বাসে বিক্ষোভ থামেনি।

শিক্ষার্থীদের ছয় দফা দাবি হলো: নিহত ব্যক্তিদের সঠিক নাম-পরিচয় প্রকাশ; আহত ব্যক্তিদের সম্পূর্ণ ও নির্ভুল তালিকা;

শিক্ষার্থীদের প্রতিটি পরিবারকে ক্ষতিপূরণ;

বিমানবাহিনীর ব্যবহৃত ঝুঁকিপূর্ণ ও পুরোনো প্রশিক্ষণ বিমান বাতিল করে আধুনিক ও নিরাপদ বিমান চালু এবং

বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ পদ্ধতি ও কেন্দ্র সংস্কার করে আরও মানবিক ও নিরাপদ ব্যবস্থা চালু,

শিক্ষকদের গায়ে সেনাবাহিনীর সদস্যদের হাত তোলার ঘটনার জন্য জনসমক্ষে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়া।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *