ঢাকা: ম্যাজিক ইউনূস বাংলাদেশকে শেষ পর্যন্ত উগান্ডা সুদান সোমালিয়ার ক্যাটাগরিতে দাঁড় করিয়েছে!

ম্যাজিশিয়ান ড. ইউনূসের দারুণ সব ম্যাজিক! একদিকে আরব আমিরাত সব ধরনের ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়ে বসে আছে, অন্যদিকে কানাডা বাংলাদেশ ভ্রমণে জারি করেছে সর্বোচ্চ সতর্কতা।

দারুণ সব ম্যাজিক না? এইরকম অবস্থাতেই তো জুলাই নাকি ঝুলাই যোদ্ধারা বাংলাদেশকে দেখতে চেয়েছিলো! এখন মিষ্টিমুখ করতে পারে সবাই।

আরব আমিরাত বাংলাদেশের পাশাপাশি আর যে নয়টি দেশকে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে তারা হল-

১. আফগানিস্তান
২. সুদান
৩.ইয়েমেন
৪. লিবিয়া
৫. সোমালিয়া
৬.লেবানন
৭. ক্যামেরুন
৮. উগান্ডা

এসব দেশের পাশে বাংলাদেশের নাম বেশ চমকপ্রদ লাগছেনা?

এক ভুয়া ম্যাজিশিয়ানের কবলে পড়ে দেশটা শেষ। কেউ কেউ তাকে জিন্দা ওলির মত আরেক জিন্দা পীর মনে করেন। তারা মনে করেন ড. ইউনুসের চেয়ে যোগ্য রাষ্ট্রপ্রধান এ দেশে আর আসবেনা।

তিনি জানেন না , কিংবা ঝুলাই জঙ্গীরাও জানে না যে, রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে উনি এলাকার মেম্বারের চেয়েও অথর্ব।

আরেকটি দরজা বন্ধ হল বাংলাদেশের। বাংলাদেশিরা মূলত ধীরে ধীরে কোনো দেশেই আর যেতে পারবে না। এক পাকিস্তান, আর আফগানিস্তান নিয়ে এরা নৃত্য করবে কেবল।

কথা ছিলো শত বাঁধা উপেক্ষা করে আমাদের নোবেল লরিয়েট বিশ্বের বুকে বাংলাদেশের সকল জটিলতা নিরসন করবেন। এই লোভ দেখিয়েই তো বসেছেন গদিতে।

কিন্তু ফলাফল হলো উল্টা।

গত জুলাইয়ের আন্দোলনে কয়েকটা জঙ্গী আরব আমিরাতে জঙ্গি কায়দায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার পর থেকে পুরো দমে ভিসা ব্যবস্থায় ঠাঁটা পড়ে যায়।

আমিরাতে বর্তমানে ভিসা ট্টান্সফার জটিলতায় হাজার হাজার শ্রমিকের জীবন বিপন্ন।

প্রবাসীদের নিয়ে সবচেয়ে বড় প্রতারণা করেছে ইউনুস সরকার। অসংখ্য স্বপ্ন দেখিয়েও কোনো প্রতিশ্রুতি রাখেননি।

হাজারো মানুষ ব্যবসা হারিয়েছে, ভিসা সমস্যায় পড়ে জেলে গেছে বা deported হয়েছে। অথচ সরকার টিকে আছে শুধু প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের ওপর। ভয়াবহ অবস্থা।

নয়টি দেশের ওপর পর্যটন ও কর্ম ভিসার উপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই)।

২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে এই নির্দেশনা।

এছাড়া ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে প্রবেশ করতে ইচ্ছুক এই নয় দেশের নাগরিকরাও নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকবেন।

নিরাপত্তা উদ্বেগ, ভূ-রাজনৈতিক সম্পর্ক এবং কোভিড-১৯-এর মতো মহামারিকে নিষেধাজ্ঞার অন্যতম কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছে দেশটি।

যদিও এই বিষয়ে বিস্তারিত কারণ প্রকাশ করেনি আমিরাত সরকার।

তবে, গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো—যারা ইতিমধ্যেই বৈধ ভিসা নিয়ে আমিরাতে বসবাস করছেন, তাদের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে না। তারা আগের মতোই সেদেশে বসবাস ও কাজ চালিয়ে যেতে পারবেন।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *