ঢাকা: একদিকে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের জন্য হুলুস্থুল, অন্যদিকে শিবিরের গুপ্ত রাজনীতি।
শিবিরের রাজনীতি যে চোরা গুপ্ত তা বুঝানোর জন্য এদের দুজনের উদাহরণই যথেষ্ট।
স্বামী ছাত্রলীগের লেবাস লাগিয়ে বউকে দিয়ে শিবিরের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের প্লেকার্ড দিয়ে রাস্তায় পাঠিয়েছিলো।
এখন তারা শিবিরের প্যানেলে ডাকসু নির্বাচন করবে। মূল কথা হলো এরা পূর্বেও গোপনে শিবির ছিলো আর এখন সময় সুযোগে খোলস পাল্টে নিয়ে প্রকাশ্যে শিবির করছে।
ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকলে শিবির গুপ্তভাবে তাদের কার্যক্রম চালাতে পারবে তাই তারা ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের আওয়াজ তুলে সাধারণ ছাত্রদের মাথায় লবণ ঢেলে খুব ভালোভাবে শিকার করেছে।
“হলে ছাত্ররাজনীতি চাই না” আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়া সাধারণ শিক্ষার্থী নামধারী – ‘উম্মে সালমা” শিবিরের প্যানেল থেকে ডাকসু নির্বাচন করবেন।
এদেরকে কী বলবেন নাটকবাজ ছাড়া?যা-ই বলেন, মুখোশ খুলে গেছে!
গত এক বছরে কম হলেও ১০০ বার বলেছেন, তিনি শিবির অথবা ছাত্রী সংস্থার সাথে জড়িত নয়।ছাত্রদলের কমিটি দেওয়ার পর হলে যে আন্দোলন হয় সেখানে ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের নেতৃত্ব দিয়েছেন ‘হল রাজনীতি চাইনা’।
শিবির আবার শিবির বললে ক্ষেপে যান!
কালকে বলে রাজনীতি করা যাবেনা। আর আজকে নিজেই রাজনীতির চেয়ার!
এখন স্বামী স্ত্রী পুরো হিট। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।
শিবিরের প্যানেল অনুযায়ী, কমনরুম সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন উম্মে সালমা এবং সাধারণ সদস্য (এজিএস) পদে লড়ছেন রায়হান উদ্দিন। তাঁরা দুজন স্বামী-স্ত্রী।
এর আগে ঢাবির ইতিহাসে স্বামী-স্ত্রীর একসঙ্গে ডাকসু নির্বাচনে অংশ নেওয়ার নজির নেই।
উম্মে সালমা বলেন, ‘আমি ক্যাম্পাসে নারীদের উন্নয়নে অনেক দিন থেকে কাজ করে আসছি। ডাকসু নির্বাচনের জন্য যখন প্যানেল খুঁজছিলাম তখন শিবির আমাকে তাদের প্যানেলে নেয়।’
তিনি বলেন, ‘অনেকে ভাবছেন, আমি শিবির বা ছাত্রী সংস্থার পদধারী কেউ না হয়েও শিবিরের প্যানেলে। আমি যখন কমনরুম সম্পাদক পদে নির্বাচন করার ঘোষণা দিই, তখন বিভিন্ন আনুষঙ্গিক প্রয়োজনে একটি প্যানেল প্রয়োজন। সেই হিসেবে আমার শিবিরের প্যানেলে আসা।’