ঢাকা: মানবতার নামে গৃহযুদ্ধ নিয়ে আসছে জাতিসংঘ। এতে সহায়তা দিচ্ছেন শান্তির নোবেলজয়ী ইউনূস!

যেখানে শান্তিরক্ষা করা ছিলো তাঁর একমাত্র কাজ, সেখানে দেশটাকে অশান্ত করে ছেড়ে দিচ্ছেন জাতিসংঘের হাতে। এবং ইতিহাস বলে খুব শীঘ্রই গৃহযুদ্ধ বাঁধবে দেশে!

জাতিসংঘ উন্নত বিশ্বের কিছু দেশ ছাড়া তৃতীয় বিশ্বের যতগুলো দেশে এই কার্যালয় স্থাপন করছে,সবগুলো দেশে গৃহযুদ্ধ চলছে। নাহলে সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখলে নিয়ে ঐ দেশ পরিচালনা করছে।

ইচ্ছাকৃতভাবে দেশটাকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে! বাংলাদেশের আগামি ভবিষ্যৎ খুব ভালো নয়।

গোপালগঞ্জের আড়ালে এই ভয়ংকর চুক্তি হয়ে গেলো।

বাংলাদেশ নিশ্চিত ভাবে আরেকটা দক্ষিণ সুদান, বুরুন্ডি, সোমালিয়া, কেনিয়া, ইথিওপিয়া হয়ে গেলো।অথচ পাশের দেশ মায়ানমারে আঞ্চলিক অফিসে করতে দেয়নি জান্তা সরকার।

উল্লেখযোগ্য যে, মানবিক করিডোর দিয়ে জাতিসংঘকে যে সকল সুবিধা দেয়ার কথা ছিল।

জাতিসংঘের মানবাধিকার মিশন চালুর মাধ্যমে তার থেকে আরো বেশি সুবিধা দেয়া হলো।

একটা স্বাধীন দেশে অনির্বাচিত সরকার এটা কিভাবে দেয়?

আসলে বাংলাদেশ ও জাতিকে হুমকির মুখে ঠেলে দেয়া হলো জাতিসংঘ কার্যালয় স্থাপনের মধ্য দিয়ে।

সচেতন নাগরিকদের একটি বড় অংশ এটি নিয়ে উদ্বিগ্ন। ইতিহাস বলে, এখন পর্যন্ত জাতিসংঘ যেসব দেশে সক্রিয়ভাবে জড়িয়েছে, সেই সব জায়গায় দ্বন্দ্ব, বিশৃঙ্খলা এবং রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বেড়েছে। দেশের ভিতরেই যুদ্ধ লাগবে এখন।

দেখা গেছে, সিরিয়া, ইরাক, আফগানিস্তান, ফিলিস্তিন- এত দেশ ভয়াবহ ধ্বংসের মুখে পড়ে আছে, অথচ জাতিসংঘ সেখানে কোনো শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি।

বাংলাদেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি যতটুকু হয়ে আছে, তার থেকে দ্বিগুণ হবে জাতিসংঘ স্থাপনে।

বাংলাদেশ একটি আত্মনির্ভরশীল ও শান্তিপূর্ণ রাষ্ট্র। রাজনৈতিক মতপার্থক্য থাকলেও এখানে বড় কোনো গৃহযুদ্ধ নেই।

তাহলে কেন এমষ দেশে জাতিসংঘ আঞ্চলিক অফিস খুলল?

আসলে কারণ ঐ যে বললাম, গৃহযুদ্ধের দিকে দেশকে ঠেলে দেয়া।

যেখানে জাতিসংঘের কার্যালয় স্থাপন হয়,সেখানে ওই অঞ্চলকে এনজিওকীকরণ, উপনিবেশনীকরণ করা হয়। আবার কখনো কখনো তৃতীয় কোন রাষ্ট্রকে ‘বিশেষ সুবিধা’ দেয়ার জন্য করা হয়।

সুবিধা বাড়বে আমেরিকার।

অথচ, তেলবাজ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশের স্বার্থেই ঢাকায় জাতিসংঘ মানবাধিকার কার্যালয় স্থাপন করা হয়েছে।

তিনি আরও জানিয়েছেন, প্রয়োজনে ছয় মাসের নোটিশে সরকার এই কার্যালয় প্রত্যাহার করতে পারবে। ‘তবে আমি মনে করি, এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে না।’

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *