ঢাকা: যখন জাতিসংঘ অফিসের বিরুদ্ধে পুরো দেশের মানুষ, তখন গোপালগঞ্জে হত্যা, পরিকল্পিতভাবে বিমান দুর্ঘটনা—সবই ইউনূসের সাজানো ষড়যন্ত্র।

দেশ সংস্কারের নামে দেশ বিক্রির ষড়যন্ত্র নেমেছে ইউনুস সরকার।

দেশে জাতিসংঘ মানবাধিকার কার্যালয় স্থাপনের চুক্তি হয়েছে। এই চুক্তির মাধ্যমে দেশের সার্বভৌমত্ব টিকে থাকা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

মানবাধিকার কার্যালয় আছে বিশ্বে এমন কোনো দেশই আজ ভালো নেই।সে সকল দেশ আজ যুদ্ধে জর্জরিত।

এবার জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সভাপতি মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক বলেন, বর্তমান ইন্টেরিম সরকার অনিয়মের মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে পরামর্শ না করে পশ্চিমা এজেন্ডা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় স্থাপনের জন্য তিন বছর মেয়াদি চুক্তিতে আবদ্ধ হয়েছে।

আমরা মনে করি জাতিসংঘের তথাকথিত মানবাধিকার কার্যালয় বাংলাদেশের জন্য হুমকিস্বরূপ।

আমাদের পার্বত্য অঞ্চল নিয়ে এরা নাক গলাবে। সমকামিতা ও ট্রান্সজেন্ডারসহ নানান অনৈসলামিক কার্যক্রম পরিচালনা ও প্রমোট করা এই কার্যালয়ের মূল টার্গেট। বাংলাদেশের শান্ত পরিবেশে এই ব্যর্থ কার্যালয়ের কোনো দরকার নেই।

ফিলিস্তিনে এই সংস্থার অফিস থাকলেও আজ গাজা যেন ইজরাইলের হাতে এক বিরাণ ভূমিতে পরিণত হয়েছে। অথচ এই কার্যলায় মুখে কুলুপ এঁটে দিয়ে বসে আছে।

আমরা মানবাধিকারের নামে কোনো পশ্চিমা এজেন্ডা বাস্তবায়নের পক্ষে নয়। খুব দ্রুত সময়ে এই চুক্তি বাতিল করতে হবে।

বুধবার (২৭ আগস্ট) বিকাল ৩টায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় স্থাপন ও সর্বপ্রকার বাতিলের আস্ফালনের প্রতিবাদে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ ও জমিয়ত উলামা বাংলাদেশ এর যৌথ উদ্যোগে সিলেটের কানাইঘাট বাজারে বিশাল গণ-মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জমিয়ত সভাপতি কথাগুলো বলেন।

তবে এদের প্রতিবাদের উদ্দেশ্য ভিন্ন। এরা মৌলবাদ প্রতিষ্ঠা করতে চায় দেশে। আর মুক্তচিন্তকরা জাতিসংঘের বিরোধিতা করছে ভিন্ন কারণে।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *