ঢাকা: রাখাইনভিত্তিক জাতিগত বিপ্লবী সংগঠন ইউনাইটেড লীগ অব আরাকান (ইউএলএ) বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছে, সীমান্তে রোহিঙ্গা জঙ্গি গোষ্ঠীগুলিকে মদদ দেওয়া কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত তদন্ত ও কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
অবশ্যই পদক্ষেপ নিতে হবে, অন্যথায় “বাংলাদেশ, সীমান্ত এবং আসিয়ান অঞ্চলের” নিরাপত্তা পরিস্থিতি অস্থিতিশীল হয়ে উঠতে পারে।
এক বিবৃতিতে ইউএলএর সশস্ত্র শাখা আরাকান আর্মি (এএ) অভিযোগ করে, বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবির কিছু কর্মকর্তা সীমান্তে সক্রিয় রোহিঙ্গা সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (এআরএসএ) এবং রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন (আরএসও)-কে গোপনে সমর্থন দিচ্ছেন।
এএ সতর্ক করে জানিয়ে দিয়েছে, এ ধরনের কর্মকাণ্ড শুধু সীমান্তের স্থিতিশীলতা, নিরাপত্তাকেই ঝুঁকিতে ফেলছে না, সাথে বাংলাদেশ-মিয়ানমার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককেও গভীর সংকটে ঠেলে দিতে পারে।
অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো দিশা নেই।
দেশের নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের মতে, সীমান্ত সংকট মোকাবিলায় অন্তর্বর্তী সরকারের দুর্বল অবস্থান ও অদক্ষ কূটনৈতিক নীতিই এই পরিস্থিতিকে দিনের পর দিন আরো বেশি জটিল করে তুলেছে।
এছাড়াও সরকারের অবস্থানে জনমনেও আতঙ্ক বাড়ছে।
বিজিবি, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, এমনকি উপদেষ্টা খলিলুর রহমানও আরাকান আর্মি বা ইউএলএর অভিযোগ অস্বীকার করেননি।
