ঢাকা: বাংলাদেশে নিত্যপণ্যের দাম এত বেশি বেড়েছে, যারা প্রতিদিন রোজগার করেন তাঁদের অবস্থা খুব খারাপ।

অথচ বাজারে লাগাম টানার নাম নেই সরকারের। যে যেভাবে পারছে সেভাবে দাম চাইছে। লুট করছে। মধ্যবিত্ত, গরীব যাবে কোথায়?

“বর্তমান পরিস্থিতি আগের চেয়ে অনেক খারাপ, বউ-বাচ্চা নিয়ে চলতে পারিনা”-বলছে সাধারণ জনগণ।

ইউনূস দুঃশাসনে কর্মক্ষেত্রগুলোও আজ সংকীর্ণ। মানুষের আয়-রোজগার কমে যাচ্ছে, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির ফলে সংসার চালাতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোর।

কেউ আধবেলা তো কেউ সারাদিন না খেয়ে দিনাতিপাত করছে। এককথায়, মানুষের দারিদ্র্যতা বৃদ্ধি পাচ্ছে দেশবিরোধী কুচক্রীর হাতে জিম্মি হয়ে।

ইউনূসের অপশাসনে মানুষ এমনভাবে হাঁসফাঁস করছে যে, এই অবৈধ ও অগণতান্ত্রিক সরকার যত তাড়াতাড়ি দেশ থেকে বিদায় হবে, মানুষ হাফ ছেড়ে মুক্তজীবনের স্বাদ নিতে পারবে।

দেখা গেছে, গত দুই মাসের ব্যবধানে দেশি পেঁয়াজ, ডাল, মুরগির ডিম, সোনালি মুরগি, মাছ ও কয়েকটি সবজির দাম সর্বোচ্চ ৮৭ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে খুচরা পর্যায়ে বিক্রি হচ্ছে।

এমন পরিস্থিতিতে এখন বাজারে গেলেই মানুষের অসহায় দৃষ্টি চোখে পড়ে।

বাজারের খুচরা ব্যবসায়ীরা এক রকম কথা বলেন, আবার আড়তদাররা বলেন আরেক রকম। ক্রেতাদের কথা শোনার কেউ নেই।

ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট, বাজার তদারকির অভাব, সরবরাহব্যবস্থার দুর্বলতা আছেই।

এখন বাজারে যেসব পাকা টমেটো বিক্রি হচ্ছে সেগুলো মূলত ভারত থেকে আমদানীকৃত।

গত দুই মাসের ব্যবধানে টমেটো কেজিতে ৬০ থেকে ৮৭ শতাংশ দাম বেড়ে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

করলা কেজিতে ২৯ থেকে ৩৩ শতাংশ দাম বেড়ে ১০০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বরবটি কেজিতে ৪৩ থেকে ৫০ শতাংশ বেড়ে ১০০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সবজি, মাছ, মাংস সবকিছুর দাম ঊর্ধ্বমুখী, জনগণ খাবে কী?

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *