সিলেট: এই সাদা পাথর উত্তোলনের সাথে সব চোর বাটপাররা জড়িত। শুধু একজনকে গ্রেপ্তার করে আই ওয়াশ কীভাবে করা হচ্ছে তা জনগণের বোঝার বাকি নেই।

পাথর উত্তোলন করতে না দিলে আন্দোলনের হুমকি দেন চরমোনাই পীর ফয়জুল করিম।
—-অক্টোবর ২০২৪

চরমোনাই পীর ফয়জুল করিম বলেন পরিবেশের ক্ষতি কোনো ইস্যু না বরং পাথর তুলতে দিচ্ছে না এটা ভারতের চক্রান্ত।

সবেতেই ভারতের দোষ খুঁচিয়ে বের করার অভ্যাস এদের গেলো না। আগেও না পাছেও না ভারত। তবুও ভারতকে সব জায়গায় জুজু দেখে বাংলাদেশের এই দলগুলো।

গত ১০ মাসে সিলেটের পর্যটনকেন্দ্র থেকে ১০ হাজার কোটি টাকার সাদা পাথর চুরি করা হয়েছে।

এই চুরিগুলো করছে বিএনপির স্থানীয় নেতাসহ আরো অন্যান্যরা।

পরিবেশ বিষয়ক উপদেষ্টা রিজওয়ানা কী করছিলেন?

পুলিশ প্রশাসনও কিছু করছে না। কারণ তাদেরও নাকি বিএনপির স্থানীয় নেতাদের সাথে লিয়াজু করে চলতে হচ্ছে, বিএনপি সামনে ক্ষমতায় আসবে তাই। তাছাড়া এই চুরির ভাগ পায় পুলিশও।

পাথর চুরি করা এই নেতারাই না-কি কিছুদিন পর ক্ষমতায় আসবে, দেশের উন্নয়ন করবে! অথচ সামান্য পাথরের লোভই সামলাতে পারে না ওরা, দেশের রিজার্ভের টাকার লোভ সামলাবে কি করে?

পরিবেশবিদদের মতে- এভাবে সাদা পাথর চুরি হতে থাকলে একসময় এ পর্যটনকেন্দ্রটাই নষ্ট হয়ে যাবে।

বর্তমান সরকারের বন ও পরিবেশ উপদেষ্টা রিজওয়ানা তিনি কি সত্যিই এই বিষয়টা জানেন না, নাকি জানলেও ‘কিছু করার দরকার নেই’ ভেবে নীরব?

নাকি উল্টো এই সাদাপাথর সিন্ডিকেট থেকেই শতকোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার সুবাদেই এমন নীরবতা?

বন-পরিবেশ উপদেষ্টা মানে তো শুধু ঢাকায় বসে বোতলজাত পানি বন্ধ, পলিথিন বন্ধ, সেন্টমার্টিন যাত্রা বন্ধ করতে হবে বলে শ্রুতিমধুর ভাষার ফুলঝুরি ফুটানো কিংবা আন্তর্জাতিক সেমিনারে ফুলের মালা নেওয়া নয়, বাস্তবে প্রকৃতি রক্ষা করাই মূল দায়িত্ব। কিন্তু সাদাপাথরের এই লুটে তার ভূমিকা কি? ….প্রকৃতপক্ষে শূন্য।

শুধু রিজওয়ানাই নন, পুরো সরকারের ব্যর্থতা এখানে সুস্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে। সামান্য এক টুকরো পাথরও যাদের কাছে নিরাপদ নয়, তাদের হাতে কি করে একটি দেশ নিরাপদ থাকবে?

ভোলাগঞ্জের মানুষ আজ ক্ষুব্ধ। নদীর তলদেশ ধ্বংস হচ্ছে, পানির প্রবাহ কমে আসছে, জীববৈচিত্র্য বিলীন হচ্ছে।

পাথর লুটের অভিযোগে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার পূর্ব ইসলামপুর ইউনিয়নের (ইউপি) চেয়ারম্যান আলমগীর আলমকে আটক করেছে পুলিশ।

ওই উপজেলার ভোলাগঞ্জ সাদা পাথর পর্যটন কেন্দ্রের পাথর লুট নিয়ে সমালোচনার মধ্যে বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) সকালে তাঁকে আটক করা হয়।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজায়ের আল মাহমুদ আদনান জানান, ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীরের বিরুদ্ধে পাথর লুটে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। কোম্পানীগঞ্জের ইসলামপুর এলাকা থেকে তাঁকে আটক করা হয়েছে।

তবে আর বাকিরা কোথায়?

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *