ঢাকা: আগুনের মতো দেশে বিদেশে ছড়িয়ে পড়েছে আওয়ামী লীগ। মহাজন ইউনূস যেখানে যাচ্ছেন সেখানেই ঘিরে ধরছে আওয়ামী লীগ।
তিনি বিগত একবছরে দেশটাকে ছিন্নভিন্ন করে ফেলেছেন। জনগণ অতিষ্ঠ ইউনূসের কার্যকলাপে।
নিউইয়র্কে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস ও তাঁর সফরসঙ্গীদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লিগের বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের রাজনীতিতে উথাল-পাতাল শুরু হয়েছে।
জাতি সংঘের সম্মুখে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামীলীগের ইউনুস বিরোধী বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশে হাজার হাজার মানুষের ঢল নেমেছে ।
জাতিসংঘের সামনে ইউনুসের কুশপুত্তলিকা প্রদর্শন
করে বিক্ষোভ করে আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেতাকর্মীরা।
এইদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দপ্তরের সামনে ছাত্রলীগের এক নেতাকে মারধরের ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির এক কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁর নাম রিয়াজ রহমান হোসাইন।
স্থানীয় সময় শুক্রবার বেলা আড়াইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। মারধর করা হয় ছাত্রলীগ নেতা হৃদয় মিয়াকে।
হৃদয় মিয়াকে শারীরিক আঘাতের কারণে রিয়াজকে গ্রেপ্তার করেছে নিউইয়র্ক সিটি পুলিশ ডিপার্টমেন্ট (এনওয়াইপিডি)। মারধরের সময় পুলিশ ঐ বিএনপি নেতাকে আটক করে পুলিশ। ফেলে তার হাতে হাতকড়া লাগাও হয়।
পুলিশ রিয়াজকে হাতকড়া পরিয়ে কারাগারে নিয়ে যায়। আর হৃদয়কে ম্যানহাটানের একটি হাসপাতালে ভর্তি করেছে এনওয়াইপিডি। হৃদয় ছাত্রলীগের যুক্তরাষ্ট্র শাখার সভাপতি পদপ্রার্থী।
মারধের শিকার হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছাত্রলীগ নেতা হৃদয় মিয়া
হাসপাতাল থেকে প্রথম আলোকে ছাত্রলীগ নেতা হৃদয় মিয়া বলেছেন, ‘আমাদের বিক্ষোভ শেষে বাসায় যাওয়ার জন্য হাঁটছিলাম, এমন সময় এক যুবক এসে আমাকে এবং আওয়ামী লীগকে গালাগালি করে। আমি বললাম, আমি আপনাকে চিনি না জানি না, আমাকে কেন গালিগালাজ করছেন? এ কথা বলতেই অতর্কিতে আমাকে মাথা, ঘাড় ও মুখে ঘুষি মারে।’
ভিডিওতেও দেখা যাচ্ছে, তাঁকে এলোপাথাড়ি ঘুষি চালাতে তাকে নাকেমুখে ঐ নেতা। তিনি ভেবেছিলেন হয়তো সেটা বাংলাদেশ, মেরে পালাবেন।
হৃদয় বলেন, ‘আমি মাটিতে পড়ে গেলে পাশে থাকা পুলিশ এসে আমাদের দুজনকেই ধরে। পরে অন্য আরেকজন পুলিশ এসে বলে, রিয়াজ প্রথম আঘাত করেছে। পরে পুলিশ আমাকে ছেড়ে দিয়ে তাদের গাড়িতে করে হাসপাতালে দিয়ে যায়।’