ঢাকা: বাংলাদেশকে একদম ঘোল খাইয়ে ছেড়ে দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন একজন খেলোয়াড় হয়েও কিচ্ছু করতে পারেননি ইউনূস।
অন্তর্বর্তী সরকার কেবল আলোচনা করে। বৈঠক করে ঘুরেফিরে। আর ইউনূস তো বিদেশ ভ্রমণে ব্যস্ত দেশকে চাঙে উঠিয়ে।
৩৫+১৫= ৫০% শুল্ক আরোপে আমেরিকায় রপ্তানি বাণিজ্যে ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে পড়বে বাংলাদেশের গার্মেন্টস খাত।
অন্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের শুল্ক হার বেশি। ইউনূসের খেলা সব জায়গায় চলে না!
ভারতে আরোপ হতে যাচ্ছে ২০ পার্সেন্ট। ভিয়েতনামে ২০ পার্সেন্ট।
কিন্তু বাংলাদেশে এতো কেনো?
বিদেশী ক্রেতারা চলে যাচ্ছে এই দেশগুলোতে। বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের ঘুম নেই।
ভীষণ উদ্বেগ দেখা দিয়েছে দেশে। গার্মেন্ট বন্ধ হয়ে যাবে। লক্ষ লক্ষ শ্রমিক কর্মহারা হবে। এতো শুল্ক দিয়ে বিদেশীরা পোশাক বানাতে বাংলাদেশ আসবে না। তারা ভারত ও ভিয়েতনাম চলে যাবে। এটা নিশ্চিত।
কেউ ৩০ পার্সেন্ট বেশি দিয়ে আমাদের এখানে আসবে না। কেনোই বা আসবে?
দেশের সামাজিক, রাজনৈতিক পরিস্থিতি অস্থিতিশীল। আইনশৃঙ্খলা বলতে কিছু নেই। জননিরাপত্তা হুমকিতে। ফলে বাংলাদেশে এখন পা বাড়াতেই আতঙ্ক সকলের।
রাজনৈতিক সংস্কার করবেন ইউনূস? এসব বাস্তব জগতে কাজে আসে না। ব্যবসাবাণিজ্য না থাকলে দেশের পরিণতি কোন অবস্থায় যেতে পারে ভাবুন একবার?
তিন মাসের স্থগিতাদেশ শেষ হওয়ার আগেই ৭ জুলাই বাংলাদেশের ওপর ৩৫ শতাংশ রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ আরোপ করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের পণ্য রফতানিকারকরা বলছেন, শুল্ক পরিস্থিতি শেষ পর্যন্ত কী দাঁড়ায় তা না জানা পর্যন্ত নিশ্চিন্ত হতে পারছেন না।
অর্থমূল্য বিবেচনায় বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে রফতানি হওয়া মোট পণ্যের ৮৭ শতাংশই তৈরি পোশাক।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে রফতানি হওয়া বাংলাদেশের প্রধান পণ্যগুলোর মধ্যে তৈরি পোশাক ছাড়া রয়েছে হেডগিয়ার, জুতা, অন্যান্য বস্ত্রপণ্য, পালক এবং পালক দ্বারা তৈরি সামগ্রী, চামড়াজাত পণ্য, মাছ, শস্যদানা, প্লাস্টিক পণ্য, আসবাব প্রভৃতি। এসব খাতসংশ্লিষ্টরা এখন বড় উদ্বেগে দিন কাটাচ্ছেন।