ঢাকা: একজন বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কলামিস্ট বিভুরঞ্জন সরকার ২১ আগস্ট সকাল থেকে নিখোঁজ রয়েছেন। তিনি বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফেরেননি।
পরিবার রাতেই থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে, কিন্তু এখন পর্যন্ত তাঁর কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।
সাংবাদিক বিভুরঞ্জনের জামাতা ফেসবুকে লিখেছেন, ‘আমার শ্বশুরমশায় সাংবাদিক বিভুরঞ্জন সরকার বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় অন্যান্য দিনের মতো অফিস (আজকের পত্রিকা) যাবেন বলে বাসা থেকে বের হন।
পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তিনি অফিসে যাননি। পরিচিত পরিমন্ডলের কোথাও যাননি। গতকাল কেউ তাঁকে দেখেনি। আজ সকাল ১০টা পর্যন্ত তিনি বাসায় ফেরেননি।
হাসপাতাল-পার্ক কোথাও তাঁকে পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি গতকাল মোবাইলও বাসায় রেখে গেছেন। গতকাল রাতে রমনা থানায় জিডি করা হয়েছে।
তাঁর জন্য আমরা পরিবারের সবাই ভীষণ উদ্বেগের মধ্যে আছি’!
বিভুরঞ্জন একজন স্টার সাংবাদিক ছিলেন। স্পষ্টবাদী হিসেবে তাঁর পরিচিতি।
মাত্র তিন দিন আগে ১৮ আগস্ট প্রকাশিত তাঁর সর্বশেষ কলাম “বিদ্বেষপরায়ণতার শেষ কোথায়” এ তিনি ঘৃণা ও বিদ্বেষের রাজনীতি নিয়ে স্পষ্ট সতর্কবার্তা দিয়েছিলেন।
এর পরপরই তাঁর নিখোঁজ হয়ে যাওয়া কোনোভাবেই কাকতালীয় বলা যায় না। কোথায় গেলেন তিনি? কারা গুম করলো তাঁকে?
এটি নিছক একজন ব্যক্তি নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা নয়; এটি স্বাধীন মতপ্রকাশ ও মুক্ত সাংবাদিকতার ওপর সরাসরি আঘাত।
সাংবাদিক ও কলামিস্টদের ভয় দেখিয়ে, গুম-খুনের আতঙ্ক সৃষ্টি করে বর্তমান অবৈধ সরকার বাংলাদেশকে ভয় ও আতঙ্কের রাষ্ট্রে পরিণত করতে চাইছে।
৫ আগস্টের পর থেকে বাংলাদেশে একের পর এক সাংবাদিকের উপর আক্রমণ নেমে এসেছে। তাঁরা প্রশ্ন করলে, অন্যায়ের বিরোধিতা করলে হয় মেরে ফেলা হচ্ছে না হয় জেলে ভরা হচ্ছে।
সাংবাদিক, লেখক, বুদ্ধিজীবী ও ভিন্নমতের মানুষের ওপর রাষ্ট্রীয় নিপীড়ন ও গুমের রাজনীতি বন্ধ করতে হবে।
একজন সাংবাদিকের কণ্ঠরোধ করা মানে গোটা জাতির কণ্ঠরোধের প্রচেষ্টা।