ঢাকা: নির্বাচন তো নয়, যেন যুদ্ধ শুরু হবে! এমন স্বৈরাচার শুরু হয়েছে দেশে।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় যত এগিয়ে আসছে, নির্বাচনী মাঠ ততই উত্তপ্ত হতে শুরু করেছে।

নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে বা আরো প্রায় এক মাস পর।

কিন্তু ইতিমধ্যে অনানুষ্ঠানিক নির্বাচনী প্রচার শুরু হয়ে গেছে এবং নির্বাচনসংশ্লিষ্ট সহিংসতায় ১১ জনের মতো নিহত হয়েছেন। অক্টোবর মাসে নিহত হয়েছেন ১০ জন। যা কাম্য ছিলো না।

এইসব দেখে জনগণ ভীত হয়ে পড়ছে। তাঁরা আতঙ্কিত যে এই উগ্র অবস্থায় তাঁরা ভোট দিতে যাবেন কীভাবে?

এদিকে, প্রেস সচিব তো তাঁর বক্তব্য দিয়েই চলেছেন।

সারা দেশে এখন নির্বাচনী আমেজ বইছে, এই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া কেউ থামাতে পারবে না বলে মন্তব্য করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

শুক্রবার (৭ নভেম্বর) নেত্রকোণা সার্কিট হাউসের সম্মেলন কক্ষে জেলার সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এই বৃহৎ মন্তব্য করেন।

প্রেস সচিব বলেন, ‘সারা দেশে এখন নির্বাচনী হাওয়া বইছে, এই হাওয়া কেউ রুখতে পারবে না। নির্বাচন নিয়ে যারা বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে তারা ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর। তারা ফ্যাসিস্ট সরকারের নানাভাবে সুবিধাভোগী।’

শফিকুল আলম বলেন, ‘সরকার নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের মতামতকেই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে। গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও অংশগ্রহণমূলক রাজনীতি নিশ্চিত করতেই সরকার নিরলসভাবে কাজ করছে।’

প্রেস সচিব বলেন, ‘গণমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে জনগণের কাছে সরকারের কার্যক্রমের সঠিক ও ইতিবাচক বার্তা পৌঁছে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই সরকারের সঙ্গে গণমাধ্যমের পারস্পরিক আস্থা ও বোঝাপড়া আরও দৃঢ় করতে হবে।’

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *