ঢাকা: বর্তমানে যারা সরকার চালাচ্ছে তাদের পাঁচমিশালী বা পাঁচ পূরণ বলতে পারেন । সরকারের ভেতরেও সরকার আছে।
বহু সুযোগ সন্ধানী আদম অন্তর্বর্তী সরকারে ঠাঁই পেয়েছে । তারা জানে নির্বাচন হয়ে গেলে এরা আর কোথাও থাকবে না তাই তারা চায় না দেশে নির্বাচন হোক ।
তারা চায় একটা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে যতদিন ক্ষমতায় টিকে থাকা যায় ।
আর এর মাঝে বিএনপি চাইছে যেনতেন নির্বাচনটা হোক। তারপর ভাগের মা দেখা যাবে। জুলাই ঘোষণাপত্র, জুলাই সনদ এসব একাত্তর বিরোধী হোক, পক্ষে হোক- বিপক্ষে হোক- দেখার সময় নেই এখন বিএনপির।
নির্বাচনটা দিয়ে বসতে পারলেই বাঁচে। তারপর শুরু হবে কৌশলী রাজত্ব।
তাই যত দ্রুত জুলাই ঘোষণাপত্রকে স্বাগত জানানো যায় আরকি।
বিএনপি জুলাই ঘোষণাপত্রকে স্বাগত জানিয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বুধবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টার জুলাই ও নির্বাচনী ঘোষণার আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বিএনপি।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিএনপি বিশ্বাস করে এই ঘোষণাপত্রে রাজনৈতিক দলগুলো যে অঙ্গীকার করেছে তা পালনের মধ্য দিয়ে এক নতুন গণতান্ত্রিক বাংলাদেশে রূপান্তরের কাজ শুরু হবে।
সুযোগ সৃষ্টি হবে একটি সাম্য, মানবিক মূল্যবোধ ও ন্যায়বিচারের ভিত্তিতে সত্যিকারের প্রগতিশীল সমৃদ্ধ বাংলাদেশ নির্মাণের।
যেসব রাজনৈতিক দল, ছাত্র, কৃষক, শ্রমিকসহ সর্বস্তরের জনগণ এই সংগ্রামে অংশ নিয়েছে, শহীদ হয়েছে, আহত হয়েছে, পঙ্গু হয়েছে বিএনপি তাদের জানাচ্ছে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা, ধন্যবাদ ও অভিনন্দন।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে একটা নির্বাচনের মধ্য দিয়ে একটা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাতে যাওয়া এবং আমরা নির্বাচন ছাড়া অন্য কোনো কিছুতে বিশ্বাস করি না।
গোটা জাতি মনে করে অতিদ্রুত একটি নির্বাচন একমাত্র এখন পথ, যা দিয়ে আমরা বর্তমান রাজনৈতিক সংকট থেকে উত্তরণ করে গণতন্ত্রের দিকে যাব।’
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘যারা হতাশ হয়েছে, তারা সারাজীবন হতাশ থাকে। আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া হয়তো তারা এখনও দেয়নি তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তারা বলেছে, আমরা আশা করবো তারা একটা পজিটিভ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে এই জাতীয় এবং গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথকে পরিষ্কার করবে।’