ঢাকা: ফরিদা পারভীন বলেছিলেন,“লালনের গান আমার আত্মার খোরাক”।
বাউল সম্রাজ্ঞী কণ্ঠশিল্পী ফরিদা পারভীন ভালো নেই! তিনি অসুস্থ।
লালন সাঁইজির গান তিনি পৌঁছে দিয়েছেন দেশ-বিদেশের নানা প্রান্তে। এবং পেয়েছেন অগণিত সংগীতপ্রেমীর শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা।
লালনের গান নিয়ে নতুন প্রজন্মের শিল্পীরা ফিউশন করছেন- এটা মেনে নিতে পারেন নি এই শিল্পী।তিনি বলেছিলেন, “এ ধরনের গানের কি শুদ্ধতা থাকছে?”
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন লালনগীতি শিল্পী ফরিদা পারভীন। তবে তাঁর শারীরিক অবস্থার ‘কিছুটা উন্নতি’ হয়েছে বলে জানিয়েছে তার পরিবার।
জানা গিয়েছে, ফরিদা পারভীনকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রেখে চিকিৎসা করার পর রোববার থেকে তাঁকে সাধারণ কেবিনে দেওয়া হয়েছে।
তবে তিনি বা তাঁর পরিবার চিকিৎসার জন্য আর্থিক সাহায্য নয়, শিল্পীর চিকিৎসা প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা প্রয়োজন আছে তাদের।
তাঁর পরিবার চাইছে, চিকিৎসায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে মেডিকেল বোর্ড গঠন করার জন্য সরকার যেন দৃষ্টি দেয়।
তাঁর বয়স হয়েছে ৭১ বছর।
নানান জটিলতা তাঁর শরীরে। কিডনি সমস্যা থেকে শুরু করে ডায়াবেটিসসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন দীর্ঘদিন ধরে।
এটি বলতেই হয় একজন ফরিদা পারভীনের জন্ম না হলে লালনের অনেক গান হারিয়ে যেতো।
তবে এই সরকার গান আর সুরের পূজারী নয়। মৌলবাদের পূজারি। ফরিদা পারভীন এই অবস্থায় সঠিক সহযোগিতা পাবেন কিনা সেটা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
রাষ্ট্র ক্ষমতায় শেখ হাসিনা থাকলে পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া যেতো। শেখ হাসিনার সরকার লালন কন্যার পাশে থেকে বলতেন,তোমার চিকিৎসার পুরো ব্যয়ভার আমাদের!