ঢাকা: স্বাধীনতাবিরোধী জুলাই সনদে স্বাক্ষর হয়ে গেলো। বিচার থেকে খালাস পাওয়ার এক প্রক্রিয়া। আসলে ইউনূস গং তো অভিনেতা, তাঁরা এমন বহু নাটক জানেন। অভিনয়ে এরা পরিপক্ক!

এই নিয়ে কড়া মন্তব্য করেছেন কবি, লেখক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক আখতারুজ্জামান আজাদ।

আখতারুজ্জামান আজাদ তাঁর বিশ্লেষণে বলেছেন, “জুলাই সনদ বা জুলাই ঘোষণাপত্র তাদেরই প্রয়োজন, যারা আশঙ্কা করছে, জুলাই আন্দোলনের সময়ে রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস ও পুলিশহত্যার দায়ে তাদের বিচার হতে পারে।”

তাঁর মতে, এই সনদ এমন একটি লিখিত নিশ্চয়তা চায়, যাতে ভবিষ্যতে রাজনৈতিক পটপরিবর্তন হলেও উল্লিখিত অভিযোগে তাদের কোনো ধরনের বিচার করা না হয়।

আজাদ পরিষ্কার বলেন, “জুলাই সনদ বা জুলাই ঘোষণাপত্রের সারাংশ মূলত এটুকুই। বাকি সবকিছু চাপাবাজি, সংস্কার-টংস্কার সবকিছু ভুয়া।”

তিনি বলেন, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে সংঘটিত যেকোনো ফৌজদারি অপরাধের দায় থেকে ভবিষ্যতে আইনি জবাবদিহিতা এড়ানোর লিখিত নিশ্চয়তাই হলো ‘জুলাই সনদ’ বা ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’। এটিকে তিনি স্রেফ একটি দায়মুক্তি আইন হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।

“জুলাই-আগস্টের ঘটনায় যাদের আসলেই ‘দায়’ আছে, অর্থাৎ রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস ও পুলিশহত্যার সাথে যাদের পরোক্ষ বা প্রত্যক্ষ সংশ্লিষ্টতা আছে এবং যারা ৫ আগস্টের পর বিপুল অর্থসম্পদ লুটপাট করে অস্বাভাবিকভাবে ফকির থেকে আমির হয়েছে; সামান্য লক্ষ করলেই বোঝা যায়— জুলাই সনদ পাশের জন্য তারাই সবচেয়ে উদ্‌গ্রীব।”

আজাদ বলেন, “দায় সত্যি-সত্যিই থেকে থাকলে কোনো ধরনের দায়মুক্তি আইনই তাদেরকে বিচারের মুখোমুখি হওয়া থেকে রেহাই দিতে পারবে না।”

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *