ঢাকা: কথায় কথায় ইসলামবিরোধী কথা বললেও জামায়াত ইসলামের বিরুদ্ধে কখনোই কথা বলেন না গুজব-কিং খ্যাত ডেভিড বার্গম্যান।

বাংলাদেশের ইতিহাস, গণতন্ত্র ও সংবিধানের বিরুদ্ধে বহির্জাতিক পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত ভয়ঙ্কর এক চক্রান্তের নাম হয়ে উঠেছে তথাকথিত ‘জুলাই ঘোষণা’।

এটি কোনো রাজনৈতিক ম্যান্ডেট, আন্দোলনের পরিণতি কিংবা জনচাওয়ার প্রতিফলন নয়—বরং এটি একজন বিচারাধীন, স্বার্থান্ধ, অগণতান্ত্রিক ও ষড়যন্ত্রপরায়ণ ব্যক্তির নেতৃত্বে ক্ষমতা দখলের জন্য পরিচালিত বেসামরিক ফ্যাসিবাদের নগ্ন ঘোষণা।

তারপরেও আওয়ামী লীগের জুজু দেখছেন সবেতেই। জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়েও নিজের বক্তব্য দিলেন ডেভিড।

জুলাই ঘোষণাপত্র দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।

মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৫টার পর জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় এই ঘোষণাপত্র পাঠ করেন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইউনূস।

নিজের অভিমত ব্যক্ত করেন ব্রিটিশ সাংবাদিক ও বাংলাদেশ–পরিস্থিতি ও আইসিটি কার্যক্রমের পর্যালোচক ডেভিড বার্গম্যান।

মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) রাতে সাামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে এ অভিমত প্রকাশ করেন তিনি।

ফেসবুক স্ট্যাটাসে বার্গম্যান বলেন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মোহাম্মদ ইউনুস যে ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠ করেছেন সেই ঘোষণায় যে ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে, বিশেষ করে আওয়ামী লীগ সম্পর্কে যেভাবে বর্ণনা করা হয়েছে, তা অত্যন্ত পক্ষপাতদুষ্ট ও একচোখা।

এটি এমন লোকদের দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রতিনিধিত্ব করছে, যারা শুধু আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় থাকার সময়কার কর্মকাণ্ডের জন্য নয়, বরং রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ হিসেবে দলটির অস্তিত্বের জন্যও দলটিকে ঘৃণা করে।

অনেকটা মনে হয়, এটি আওয়ামী লীগের দীর্ঘকালীন সমালোচক ও বিরোধীদের লেখা রাজনৈতিক প্রচারপত্রের মতো।

তিনি বলেন, এই ঘোষণায় উপস্থাপিত রাজনৈতিক ইতিহাসের ভাষ্যটি সম্ভবত আরও বেশি পক্ষপাতদুষ্ট, যা আওয়ামী লীগের সমালোচকরা ১৯৭১ সালের যুদ্ধ নিয়ে তাদের তৈরি করা বর্ণনাকে নিয়ে অতীতে আওয়ামী লীগকে তীব্র সমালোচনা করেছিলেন।

এবার এক পক্ষপাতদুষ্ট ইতিহাসকে সরিয়ে আরেকটি আরও রাজনৈতিকভাবে পক্ষপাতদুষ্ট ইতিহাসকে বসানো হয়েছে। কে জানত, এটাই ছিল ৫ আগস্টের উদ্দেশ্য!

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *