ঢাকা: এনসিপি রাজাকার দেশটাকে ধ্বংস করে দিয়েছে।

২০২৪ সালে শেখ হাসিনা’র সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য ডলারের গন্ধ থেকেই ২০২৪ সালে বাংলাদেশে বার বার নিষিদ্ধ জঙ্গী এবং গুপ্ত সংগঠন ইসলামী ছাত্র শিবিরের রাজনীতির সাথে জড়িয়ে পড়ে নাহিদ, আসিফ, সার্জিস আলম ও হাসনাত আব্দুল্লাহ।

জামাত, এনসিপি, এরা প্রত্যেকে এক একটা আস্ত রাজাকার। যারা মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে গিয়েই শেখ হাসিনাকে গদিচ্যুত করেছে।

এনসিপি খুব ভালো করেই জানে এরা বাংলাদেশের ইতিহাসে কোনদিন কোন রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠিত দলের নেতা হতে কখনোই পারবে না।

গ্রামের ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার নির্বাচিত হওয়ার ন্যুনতম যোগ্যতা এদের নেই।

তাই সংস্কারের নামে যতোদিন এই দেশকে লুটে পুটে খেয়ে পশ্চিমা বিশ্বের কাছে বিক্রি করে দেওয়া যায় তার জন্য মেটিকুলাস ডিজাইনের সর্দার ইউনুসকে ক্ষমতায় বসিয়েছে।

এরা তো সবাই এখন নিজের আখের গোছাতে ব্যস্ত। এই কয় মাসে কোটিপতি হয়ে গেছে সবাই।

নাহিদের পিএ ৯ মাসে ১৫০ কোটি টাকা,আসিফ এর পিএ ৪০০ কোটি , সারজিস আলম, হাসনাত ও তাবাসসুম মিলে বন্যা ও জুলাই আগস্ট শহীদের ফান্ড করে শত শত কোটি টাকা গায়েব করে দিয়েছে।

এরা যদি একাত্তর চায়, তাহলে গোপালগঞ্জে কেন সারজিসরা মুজিববাদ মুর্দাবাদ স্লোগান দেয়?

সারজিস কেন বলেছিলেন?
“বাহাত্তরের সংবিধান একটা দলের ছিল, আওয়ামীলীগের সংবিধান, মুজিবের সংবিধান। সেটা আরেকটা দেশ থেকে পাস হয়ে এসেছে।

_এই মুজিববাদী সংবিধান আর বাংলাদেশে থাকতে দিতে পারি না।
আজ আমরা এই মঞ্চে মুজিববাদী সংবিধান ভেঙেচুরে শেষ করে দিয়ে নতুন সংবিধান চাইতে এসেছি।”

এই বক্তব্যে এনসিপির অবস্থান একেবারে পরিষ্কার—

তারা ১৯৭১ সালের বাংলাদেশ চায় না।
তারা মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু, বাহাত্তরের সংবিধান — সব মুছে ফেলে
২০২৪ সালের নতুন বাংলাদেশ গড়তে চায় জুলাই সংবিধান অনুযায়ী।

এখন এরাই এসেছে আবার মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে ব্যবসা করতে।

অনিক রায়, যে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক তিনি বলেছেন, গত বছর থেকেই জামায়াত-শিবির ২৪ দিয়ে ৭১ ঢাকার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

তা ৭১ ঢাকার পরিকল্পনা তাদের ছিলো না?

তিনি বলেন, শিবির তাদের অসংখ্য বটবাহিনী দিয়ে ফেসবুকজুড়ে এক ধরনের বিভ্রান্তি তৈরির চেষ্টা করেছিল। ভেবেছিল, এভাবেই হয়তো দায়মুক্তি পাওয়া যাবে।

কিন্তু তারা ভুলে গিয়েছিল- বাংলাদেশে যত রাজাকার পরিবারের সদস্য আছে, তার বহুগুণ বেশি রয়েছে মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবার।

মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) রাতে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া পোস্টে তিনি এসব কথা বলেন।

অনিক বলেন, বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধকে বাঁচিয়ে রাখতে আওয়ামী লীগের দরকার হয় না। দেশের জনগণই মুক্তিযুদ্ধের রক্ষক। কারণ মুক্তিযুদ্ধ এই দেশের সব মানুষের, কোনো দলের একার সম্পদ নয়।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *