ঢাকা: শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ছাত্রলীগের বলে চালিয়ে দিয়ে জামায়াত শিবির ২২ জুলাই হামলা করেছে।

এই জামায়াত, চাঁদাবাজ বিএনপি, এনসিপি এরা এক একটা বিশাল বড় বড় জিনিস!

জামায়াতের মুখের কথা বরাবরই নির্বিকার, গোবেচারা । এরা যত নাট্যকার, একজন আসল নাট্যকারও ততটা হতে পারবেন কিনা সন্দেহ আছে।

জনগণকে ঘোল খাইয়ে ছাড়ছে, অথচ এদের উদ্দেশ্য এক। দেশটাকে ধ্বংস করা। দেশতো অর্ধেক ধ্বংস হয়েই গেছে ৫ আগস্টের পর, বাকি যেটুকু আছে সেটুকুও কেন আস্ত থাকবে।

কেউ ক্ষমতায় আসার আগেই তালিবানি ফতোয়া শুরু হয়ে গেছে দেশে, ক্ষমতায় এলে কী হবে তা তো বুঝতেই পারছেন। দেশ কার হাতে নিরাপদ তাও জনগণ ভালোভাবেই জানে।

মির্জা আব্বাস বলে বিএনপি ছাড়া দেশ কারো হাতে নিরাপদ নয়।

ডা. শফিকুর রহমান বলে আমরা চাঁদাবাজি করবোনা,কাউকে করতেও দিবনা।

মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করিম বলে যে চাঁদাবাজি করবে তাকে খাম্বার সাথে বেঁধে ফেলুন। কোন চাঁদাবাজ দেশের জনগণকে মুক্তির পথ দেখাতে পারেনা।

ওরা কেউই চোর না, সবাই সাধু। আসলে এই সাধুর মেলায় জনগণ প্রতিউত্তরে কী পাচ্ছে দেখুন।

৫ই আগস্ট এর পর এটাই বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি। জনগণ এখন সব বুঝে, সব দেখে, কারা দেশকে দুর্নীতিতে আবারও বিশ্বচ্যাম্পিয়ন করবে।

শফিকুর রহমানের নাটক দেখার মতো। দেশ কাঁদছে, শফিকুর, মির্জা ফখরুল রাজনীতি করছেন!

জামায়াতের আমীর ডাক্তার শফিকুর রহমান এবং বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে শতশত কর্মী নিয়ে গেছেন হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে।

দ্বিতীয় দফায় রুহুল কবীর রিজভী ও এ্যানী নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে শতশত কর্মী নিয়ে গেছেন হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে।

এইসময়ে যেখানে রোগীদের আপনজনদেরই ডাক্তাররা কাছে আসতে দেন না, সংক্রমণের সর্বোচ্চ আশঙ্কা থাকার কারণে, সেখানে তিনজন সিনিয়র রাজনীতিবিদের মাথায় কেন এটা আসলোনা?

হাসপাতালে আপনাদের কাজটা কী? এতে কি পুড়ে যাওয়া বাচ্চাদের কোন উপকার হয়েছে?

এরা আর কী করবেন দেশের জন্য?

এখন নির্বাচনী একটা ডামাডোলের মধ্যে দলগুলোর মধ্যে শুরু হয়েছে খোঁচাখুঁচি।

এবার বিএনপিকে ইঙ্গিত করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ড. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘যে দল নিজের কর্মীদের সামাল দিতে পারে না, তাদের কাছে দেশ ও দেশের মানুষ নিরাপদ নয়।’

বৃহস্পতিবার বিকেলে সিলেট জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জুলাই শহীদ স্মরণে আয়োজিত এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে দেওয়া বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জামায়াত আমির বলেন, ‘যে দল নিজের কর্মীদের সামাল দিতে পারে না, তাদের কাছে কেবল দেশ নয়; দেশের কোনো মানুষও নিরাপদ নয়। জামায়াত দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পেলে প্রতিবেশী কোনো দেশ অগ্রাধিকার পাবে না। আভ্যন্তরীণ বিষয়ে কোনো দেশকে নাক গলাতে দেওয়া হবে না।’

ডা. শফিকুর রহমান আরও বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামী আশা করে আগামী বছরের প্রথমে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে এর আগে কিছু মৌলিক সংস্কার হতে হবে। এছাড়া আগের মতো নির্বাচন হলে তা জাতির জন্য দুঃখের ও বেদনার কারণ হবে।’

এই এক বছর তো সংস্কার করতে করতেই চলে গেলো। সংস্কারে দেশ ভাসছে।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *