ঢাকা: ভোটের জন্য নেতারা সেন্টিমেন্ট নিয়ে কী দারুণ ব্যবসাটাই না করে! অথচ নিজের জায়গা কোথায়, কোথা থেকে, কোন পরিবারে তাঁর জন্ম সেটাই ভুলে যান এইসব তথাকথিত নেতারা!
মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিষয়ে বিএনপি আর জামাতের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। যেমন জামাত তেমন বিএনপি।
জামাত যেমন মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে, বিএনপিও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী দল।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তিনি একজন প্রতিষ্ঠিত রাজাকারের ছেলে।
তাঁর বাবা চোখা মিয়া রাজাকার, যার নাম অনেক আগে থেকেই রাজাকারের তালিকায় রয়েছে।
বিএনপির জন্মই হয়েছিল মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে। এই দলের সদস্যরা সবসময় মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছে, কখনও প্রকাশ্যে, কখনও গোপনে।
তাই মির্জা ফখরুলদের মুখে অন্তত একাত্তরের যুদ্ধের পক্ষের কথা মানায় না।
কী বললেন মির্জা ফখরুল মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে দেখি চলুন:
১৯৭১ সালকে ভুলে যাওয়ার কোনো অবকাশ নেই মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, কারণ ওটাই হচ্ছে আমাদের জন্মের ঠিকানা।
এই দেশ, এই ভূখণ্ড সেদিন একটা স্বাধীন দেশ হিসেবে মর্যাদা পেয়েছে, এটা আমাদের মনে রাখতে হবে সবসময়। ১৯৭১ হচ্ছে আমাদের অস্তিত্বের কথা, আমাদের পরিচিতির কথা, আমাদের স্বাতন্ত্রের কথা।
আজ, শনিবার (১ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল ও মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম আয়োজিত ‘স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষায় আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন অপরিহার্য’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি কথাগুলো বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, একটা শক্তি বাংলাদেশের যারা ১৯৭১ সালে বিরোধিতা করেছিল, তারা ১৯৭১ কে এখন নিচে নামিয়ে দিতে চায়। তারা শুধুমাত্র ২৪-এর জুলাইয়ের যে আন্দোলন তাকে বড় করে দেখাতে চায়।
একদিন নয়, আমরা দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য, ফ্যাসিস্ট শক্তিকে পরাজিত করার জন্যে হাসিনাকে উৎখাত করার জন্যে আমরা কিন্তু ১৫ বছর সংগ্রাম করেছি। মুক্তিযোদ্ধারা সংগ্রাম করেছেন। আজকে যদি কেউ দাবি করেন, এককভাবে তারা নেতৃত্ব দিয়েছে— আমরা সেটা মানতে রাজি নই।
