ঢাকা: নোবেলজয়ী ইউনূস বাংলাদেশকে শুষে খেয়েছেন। ইউনূস গং দেশকে পুরো লণ্ডভণ্ড করে ছেড়ে দিয়েছে। এমন একদিন নেই, যেদিন দেশবাসী একটু শান্তিতে নিঃশ্বাস নিতে পারে!
আইন নেই, কানুন নেই, সরকার নেই- বাংলাদেশে এখন সবাই রাজা! সবাই রাজার দেশে তো অরাজকতা হবেই।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) কেন্দ্রীয় নেতা অধ্যাপক ড. এমএম আকাশ বলেছেন, ‘সরকার সংস্কারের নামে সাত হাজার পৃষ্ঠার দলিল রচনা করেছে। এ অবস্থায় মানুষ নির্বাচন নিয়ে হতাশ। প্রশ্ন উঠেছে, ইউনূস কার জন্য, কোন অ্যাসাইনমেন্ট নিয়ে ক্ষমতায় বসেছেন?’
শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) চট্টগ্রাম জেলা সম্মেলনের বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
অধ্যাপক আকাশ ইউনূসের লন্ডন যাত্রার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ‘তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠক করে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে বললেন। বোঝা যায়, তিনি স্বেচ্ছায় নির্বাচন দিতে চান না, চাপে পড়ে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন। উনি যে বাঘের পিঠে সওয়ার হয়েছেন, সেখান থেকে কীভাবে নামবেন, বুঝতে পারছেন না।’
ড. ইউনূসকে উদ্দেশ করে সিপিবির এ নেতা সরাসরি বলেন, ‘আপনাকে দিয়ে আর কিছু হবে না। সংস্কার, বিচার নিয়ে আপনার কর্মকাণ্ড মানুষের মধ্যে আশা জাগাতে পারছে না। বরং টালবাহানা না করে নির্বাচন দিয়ে বাঘের পিঠ থেকে নেমে যান। সেটা আপনার জন্যও মঙ্গল, দেশের জন্যও, জাতির জন্যও মঙ্গল।’
ড. এমএম আকাশ বলেছেন, শেখ হাসিনার পতনের পর ছাত্রদের ইচ্ছায় অধ্যাপক ইউনূস সরকার প্রধানের দায়িত্ব নিয়েছিলেন। সেই সময় দেশের রাজনৈতিক দলগুলো তাকে সমর্থন দিয়েছিল।
কমিউনিস্ট পার্টির পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, ‘আপনি গ্রহণযোগ্য সময়ের মধ্যে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতা নির্বাচিত সরকারের হাতে তুলে দিন।’
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘ইউনূস সেই পথে যাননি। তিনি অপ্রত্যক্ষভাবে রাজনৈতিক দল বানানোর কৌশল নিলেন, বন্দরকে বিদেশিদের হাতে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করলেন, করিডোর দেওয়ার উদ্যোগ নিলেন।