ঢাকা: ১৯৭১-এ শান্তিতে নোবেল বিজয়ী উইলী ব্র্যান্ড বলেছিলেন, ‘মুজিব হত্যার পর বাঙ্গালীদের আর বিশ্বাস করা যায়না, কারণ যাঁরা মুজিবকে হত্যা করেছে তাঁরা যেকোন জঘন্য কাজ করতে পারে’।

গোপালগঞ্জে ঠান্ডা মাথায় সাধারণ মানুষগুলোকে হত্যা করে সেনাবাহিনী আসলে সেটাই প্রমাণ করেছে।

সেনাবাহিনীর দাবড়ানি আসলে নিজেদেরকে পাকিস্তানি হিসেবে প্রতিফলিত করেছে।

এই হত্যাকাণ্ডের দায় সরকার, সেনাবাহিনী কেউ এড়াতে পারেন না।

গোপালগঞ্জে মুজিব ভক্তদের কাছে টিকতে না পেরে মিলিটারির সাঁজোয়া গাড়ীর মধ্যে ঢুকে পালাতে হয়েছে সারজিস, নাহিদদের।

এই টোকাইরা ফের উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে পরিবেশ গরম রাখার চেষ্টা করছে।

এনসিপি নেতারা ঘরের মধ্যেই দাবড়ায়।

চলুন দেখি টোকাই নাহিদ কী বলেছে:

গোপালগঞ্জ ও পুরো বাংলাদেশকে মুজিববাদী সন্ত্রাস ও ফ্যাসিবাদ থেকে মুক্ত করবে বলে দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।

তিনি বলেছেন, গোপালগঞ্জের প্রতিটি ঘরে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পতাকা উড়বে। তিনি আরও বলেন, তাঁরা আবারও গোপালগঞ্জে যাবেন।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এসব কথা বলেন।
ফেসবুক পোস্টে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা কমিট করেছিলাম, আমরা গোপালগঞ্জে যাব। আমরা গেছি এবং শহীদের রক্তের শপথ নিয়ে ঘোষণা করছি যে, মুজিববাদকে গোপালগঞ্জ ও বাংলাদেশের মাটিতে দাঁড়াতে দেব না। আমরা আবারও গোপালগঞ্জে যাব।

আমরা জীবিত থাকলে গোপালগঞ্জের প্রত্যেকটা উপজেলায় প্রত্যেকটা গ্রামে কর্মসূচি করব। গোপালগঞ্জের প্রতিটা ঘরে ঘরে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পতাকা উড়বে। গোপালগঞ্জ মুজিববাদীদের হবে না, বাংলাদেশপন্থীদের হবে।’

এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, ‘শহীদ বাবু মোল্লার গোপালগঞ্জ, শহীদ রথীন বিশ্বাসের গোপালগঞ্জকে আমরা পুনরুদ্ধার করব। মকসুদপুরে কোটালীপাড়ায় আমাদের শহীদদের কবর রয়েছে।

এ মাটি মুজিববাদীদের হতে দেব না। বাংলাদেশের এক ইঞ্চি মাটিও মুজিববাদীর হবে না। যারা গতকালের হামলার প্রতিবাদ জানিয়েছেন, রাস্তায় নেমেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। ফরিদপুরে পদযাত্রায় দেখা হবে।’

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *