ঢাকা: ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকার যে নতুন দুইটি টিভির লাইসেন্স দিয়েছে এর মধ্যে একটির নাম হচ্ছে “লাইভ টিভি”।

আসল বিষয়টি হচ্ছে, লাইভ টিভির মালিক হিসেবে জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য আরিফুর রহমানের নাম থাকলেও এর পেছনে রয়েছে বর্তমানে মিডিয়ার মাফিয়া হিসেবে পরিচিত, অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সদস্য যমুনা টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ফাহিম আহমেদ।

যাকে সবাই চেনে জামাতে ইসলামের মিডিয়া শাখার নায়েবে আমির নামে।

এই ফাইম বর্তমানে কোটি টাকার মালিক বনে গিয়েছেন। কীভাবে বনেছেন সেটা জনগণের আঁচের উপর ছেড়ে দিলাম!

চট্টগ্রাম কলেজের শিবিরের সাবেক সাথী এই ফাইম আহমেদ। টাকা পয়সার অভাব নেই এখন। এক বছরে সবাই রাজা হয়েছে। কেবল জনগণ হয়েছে ফকির।

দুই টোকাই এনসিপি নেতাকে নীতি-বহির্ভূত ভাবে ২টি টেলিভিশন লাইসেন্স অনুমোদন দেয় ইউনুস সরকার। ‘নেক্সট টিভি’ ও ‘লাইভ টিভি’।

নেক্সট টিভির লাইসেন্স পেয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক মো. আরিফুর রহমান তুহিন।

আর দুই নেতার নতুন দুটি টেলিভিশন চ্যানেলের লাইসেন্স পাওয়া নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর।

তিনি বলেছেন, শুনেছি এনসিপির নেতৃবৃন্দের নামে দুটি গণমাধ্যম অনুমোদন করা হয়েছে। যে দুইজনের নামে হয়েছে, তাদের আমি ভালোভাবে চিনি। তারা নিজের ফ্যামিলি নিয়ে চলতে হিমশিম খাচ্ছে।

একটি বেসরকারি টেলিভিশনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন।

নুরুল হক নুর বলেন, আমি একটি দলের প্রধান, কিন্তু ৫ আগস্টের পরে যেখানে ছিলাম ওখানেই আছি। তারা অনেকে আমার সহকর্মী ছিলেন। ছোট একটা পত্রিকায় চাকরি করেন। অত ভালো বেতনও না।

মেইনস্ট্রিম মিডিয়া বলতে আমরা যা বুঝি, সেখানেও কেউ কাজ করেন না। কোত্থেকে কীভাবে কী দেওয়া হয়, সেটা আমি জানি না। এটা আমি খুব অবাক হয়েছি। এটার মধ্যে দিয়ে এ সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে যে অস্বচ্ছতা ও পক্ষপাতমূলক মনোভাব রয়েছে, সেগুলো বোধহয় প্রকাশ পেয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ওয়ান ইলেভেনের সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে শুরুর দিকে যেভাবে অ্যাকশন দেখিয়েছিল। বিশেষ করে মানুষকে যেভাবে একটা শৃঙ্খলায় নিয়ে আসার জন্য কিছু পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। এই গণ-অভ্যুত্থানে সরকারের কাছে আমরা সেটা দেখিনি। এই সরকারের সময় আমরা দেখেছি পুরনো স্টাইলে ভাগ-বাটোয়ারা, নিয়ন্ত্রণ, লোকজন বসানো ও প্রতিষ্ঠান দখল এগুলো চলছে।

৫ আগস্টের পরে অনেক গণমাধ্যম দখল হয়েছে। এগুলো আমরা এই সরকার দ্বারা প্রত্যাশা করিনি। এই সরকারে যারা আছেন, তাদের এর দায় নিতে হবে।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *