ঢাকা: বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি দেশ ছেড়ে পালাননি। তিনি পালাবার মানুষ নন। চিকিৎসার জন্য বাইরে গিয়েছিলেন।

সেই তিনি সসম্মানে আবার দেশে ফিরে এসেছেন।

অথচ আব্দুল হামিদের ব্যাংকক যাওয়া নিয়ে স্টেজড ড্রামা শো শুরু হয়েছিলো। অথচ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা থেকে শুরু করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও সংশ্লিষ্ট সবাই জানতো যে তাঁকে বাইরে যেতে অনুমতি সরকারীভাবেই দেওয়া হয়েছে।

সেইসময় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বললেন যে ইন্টারপোলের সাহায্য নেওয়া হবে আব্দুল হামিদকে দেশে ফিরিয়ে আনতে।

সাবেক রাষ্ট্রপতি কীভাবে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে জানতে চান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা তখন জানান, সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের দেশত্যাগে আমিও মর্মাহত। এ ঘটনা তার অগোচরে ঘটেছে। এটার সঙ্গে যারা জড়িত, ইতিমধ্যে তাদের অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।

এছাড়া একটি হাই পাওয়ার কমিটি করে দেয়া হয়েছে। আবদুল হামিদকে ইন্টারপোলের মাধ্যমে দেশে আনা হবে।’

তবে সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ দেশে ফিরে আসলেন চিকিৎসা শেষে। উনি নিজের দেশের মাটিতে মারা যাবেন বলে প্রতিজ্ঞা করেছেন।

এখন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর বলছেন আব্দুল হামিদের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ নাই, তাই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়নি।

ইন্টারপোল, তদন্ত কমিশন, ইসলামিস্টদের ‘সরকারবিরোধী’ নাটক সব শেষ এখন।

সোমবার ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জাহাঙ্গীর আলম বলেন,

“আপনারাই বলছেন যে অনেক মামলাগুলি আছে, কিছু কিছু মামলাগুলি ইনভেস্টিগেশন হয় নাই। ইনভেস্টিগেশন হওয়ার পরে যে দোষী হবে তারে আইনের আওতায় নেওয়া হবে।”

তিনি বলেন, “আপনারাই কিন্তু সবসময় বলছেন, নির্দোষীরা যেন কোনো অবস্থায় সাজা না পায়। এজন্য আমাদের ইনভেস্টিগেশনটা করতে দেন।

ইনভেস্টিগেশন করার পর, যেই দোষী হোক না কেন কাউরে আইনের বাইরে রাখা হবে না। তারে আমরা অবশ্যই আইনের আওতায় নিয়ে আসব।”

এ সময় সাংবাদিকদের উপদেষ্টা বলেন, “আপনারাইতো রিকোয়েস্ট করছেন, বলেন আপনারা বলেন নাই? আপনারাই বলছেন আপনাদের কথাইতো আমি রাখতাছি। যে তারা ওইভাবে প্রমাণিত না হইলে…তারে আমি কেন?

একটা নির্দোষ লোকরে কেন আমি সাজা দেব? দোষী যে হবে তারে আমরা শাস্তি দেব।”

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *